প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সাধারণত মাধ্যমিক হয়ে থাকে ফেব্রুয়ারিতে এবং উচ্চমাধ্যমিক হয় মার্চে। কিন্তু এই বছর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বছরে ২টো সিমেস্টার চালু হওয়ায় এবার সেপ্টেম্বরেই অকাল উচ্চমাধ্যমিকে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। আর এবার পরীক্ষা শেষের ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের ফলাফল (HS 3rd Semester Result)। ফলপ্রকাশ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল
রিপোর্ট অনুযায়ী আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের ফলাফল জানালেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর পাশ করেছে ৯৩.৭২ শতাংশ। যা গতবারের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাই পাশের হারে এগিয়ে। এবং পাশের হারে ১২ তম জায়গায় রয়েছে কলকাতা। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার সবথেকে বেশি। ৪১.১৬ শতাংশ ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছে এবং ১০.৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী স্টার মার্কস পেয়েছে। ছেলেদের পাশের হার ৯৩.৮১ শতাংশ। আর ৯৩.৬৫ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে।
অপ্রত্যাশিত ফলাফল রাজ্যে!
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারে প্রথম দশে আছেন ৬৯ জন। যাদের মধ্যে প্রথম হয়েছে দু’জন – প্রীতম বল্লভ এবং আদিত্য নারাযণ জানা। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৯৭ শতাংশ। দু’জনেই পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া। সাবজেক্ট কম্বিনেশনও এক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১০ জন, সবাই পেয়েছে ৯৮.৯৫ শতাংশ এবং ৯৮.৯২ শতাংশ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোহম ভৌমিক সেও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আজ যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, সেটা আসলে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পার্টের ফল। এরপর চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আদালতে ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ! বড় চাল শেখ হাসিনার
দেওয়া হবে না রেজাল্টের হার্ড কপি
দুপুর ২ টো থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাবে তৃতীয় সেমেস্টারের ফলাফল। পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং রোল নম্বর দিয়ে নিজেদের রেজাল্ট দেখতে পারবে। অন্যদিকে তৃতীয় সেমেস্টারের যে মার্কশিট দেওয়া হবে, সেটা সফট কপি হবে। এক্ষেত্রে কোনো হার্ডকপি দেওয়া হবে না। একেবারে চতুর্থ সেমেস্টারের ফলপ্রকাশের পরে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট দেওয়া হবে। অনলাইন থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ মার্কশিট ডাউনলোড করবে এবং স্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। থাকবে স্ট্যাম্প এবং কিউআর কোড। তারপর সেগুলি পড়ুয়াদের দেওয়া হবে।












