বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশের হাত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করতে চাইছে ভারত সরকার! এমনটাই দাবি করছে ওপার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যম। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক সকাল জানাচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে সেটিকে গ্রেটার ত্রিপুরা বানাতে চাইছেন ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেব বর্মা (Tripura King On Chattogram)। ওপারের ওই অঞ্চলকে নাকি ত্রিপুরার অংশ হিসেবে দাবি করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বামপন্থী নেতা এবং বিদেশী সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত বলেই অভিযোগ। যদিও ভারত এমন অযৌক্তিক দাবির প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বংশধর বিক্রম মানিক্য কী দাবি করেছিলেন?
ওপার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ত্রিপুরার রাজ পরিবারের প্রধান সদস্য প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেব বর্মা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল এবং ত্রিপুরাকে একত্রিত করে নাকি গ্রেটার ত্রিপুরা বানাতে চেয়েছেন। চট্টগ্রামকে নিজেদেরই পুরনো ভূমি হিসেবে দাবি করেছিলেন বিক্রম মানিক্য। ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশের বৃহত্তম চট্টগ্রাম ভূখণ্ড দখল করে ভুটানের মতো গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড গঠন করাই বর্মার আসল উদ্দেশ্য।
না বললেই নয়, গত সেপ্টেম্বরের 17 তারিখ ANI এর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার রাজা ত্রিপুরা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সেখানে বিক্রম মানিক্য বলেছিলেন, ‘বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ সরকারের কৃত্রিম সীমানায় আবদ্ধ। অভিন্ন সংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা আলাদা রাষ্ট্র হতে চায়। এজন্য তারা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং ভারত সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।’
অবশ্যই পড়ুন: বিশ্বকাপ জেতার পরই হরমনপ্রীতকে খারাপ খবর শোনাল ICC
এদিন, ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা মানিক্যকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলের কথা বলছেন কিনা! উত্তরে ত্রিপুরার রাজা জানিয়েছিলেন, ‘আমি বলছি না একটি পূর্ব তিমুর তৈরি হোক। আমি চাই ভুটানের মতো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। কারণ আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এটা চায়।’ এদিন ওই সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার রাজবংশের প্রধান সদস্য এও বলেছিলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ হতে চাই না। আমি আমার সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধি হতে চাই। যাতে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি। যদি এই সম্প্রদায় না থাকে, ট্রাইবালরাই না থাকে তাহলে আমি রাজনীতি কি করে করব?’ তবে ভারত সরকারের তরফে চট্টগ্রাম নিয়ে কোনও বিবৃতি আসেনি। তাছাড়াও বাংলাদেশের এমন দাবির প্রতিক্রিয়া জানায়নি নয়া দিল্লি।












