বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সামান্য ভাজা মুরগি নিয়ে নিমন্ত্রিতদের সংঘাত! রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তরপ্রদেশের এক বিয়েবাড়ি। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার এক মুসলিম বাড়ির বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন নিমন্ত্রিতরা। তবে পরবর্তীতে ভাজা মুরগির একটি পদ কম দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় হাতাহাতি। তাতেই আহত হয়েছেন কমপক্ষে 15 জন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মাংসের কারণে রণক্ষেত্র বিয়েবাড়ি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও মারফত খবর, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার একটি গ্রামে মুসলিম বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন নিমন্ত্রিতরা। এমন সময় একটি ভাজা মুরগির পদ নিয়ে বচসা বাঁধে বর এবং কনেপক্ষের। বর পক্ষের অভিযোগ ছিল, তাদের ঠিকমতো মুরগির মাংসের ওই পদটি পরিবেশন করা হচ্ছিল না। তা নিয়েই শুরু হয় হট্টগোল। ঠিক তখনই মেয়ের বাড়ির লোকেরা তাদের আরও মুরগির মাংস এনে দেন। তাতেও নাকি সন্তুষ্ট হননি পাত্রপক্ষ। এমনকি কনে পক্ষের বিরুদ্ধে অভদ্র ব্যবহারেরও অভিযোগ তুলেছিল প্রথম পক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক ভাজা মুরগি নিয়ে বর এবং কনে পক্ষের বচসা ক্রমশ সংঘাতের আকার নিয়েছে। একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন সকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাকবিতণ্ডা থেকে চলল লাথি, ঘুসি, চর সবই। দুপক্ষের তর্ক বিতর্ক থেকে মারামারিতে একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিয়েবাড়ি। বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, বর এবং কনে পক্ষের ঝামেলার কারণে মাঝপথে বন্ধ করতে হয়েছিল অনুষ্ঠান। এদিকে, দু পক্ষের সংঘাতে আহত হয়েছেন 15 জন। যাঁদের বেশিরভাগকেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ বিয়ের মন্ডপ চত্বরে বর এবং কনের পরিবারের হাতাহাতি চলে। তা দেখেই পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঊর্ধ্বেধারীরা। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর কড়া প্রহরির মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বিবাহ পর্ব। এদিকে, হাতাহাতির কারণে যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসেছেন।
অবশ্যই পড়ুন: দিঘার ‘ধাম’ নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বিয়ে বাড়িতে এক খাবারের পদ নিয়ে মারামারির ঘটনায় একেবারে হাসির রোল পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশের দাবি, ‘আজকের শিক্ষিত সমাজে এমন কাণ্ড সত্যিই ভাবা যায় না।’ কেউ কেউ তো বলছেন, এমন ঘটনা নাকি শুধুমাত্র যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশেই সম্ভব! সব মিলিয়ে, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যাচ্ছে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া।












