প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে এখন চলছে SIR-এর হাওয়া। বহু বিতর্ক প্রতিনিয়ত তৈরি হয়ে চলেছে এই SIR নিয়ে। কখনও BLO-দের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তো কখনও আবার BLA-দের। বাদ যায়নি শাসকদলের হুমকিও, তাই সব মিলিয়ে রাজ্যে নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বেশ সরগরম। আর এই পরিস্থিতির মাঝে এবার সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee Faced Cyber Fraud)। আচমকাই তাঁর বিধানসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠল।
জালিয়াতির শিকার শ্রীরামপুরের সাংসদ
রিপোর্ট মোতাবেক, আসানসোল দক্ষিণের যখন বিধায়ক ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় তাঁর নামেও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে বিধানসভার উপশাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বিধায়ক হিসাবে তাঁর যাবতীয় ভাতা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। বর্তমানে কল্যাণ এখন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তাই বিধানসভার ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি এখন ‘ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে’ পরিণত হয়েছে। কারণ দীর্ঘ দিন তাঁর কোনও লেনদেন হয়নি। অভিযোগ, সেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে KYC চুরি করেছে জালিয়াতরা এবং কল্যাণের অ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
কীভাবে হল এই জালিয়াতি?
জানা গিয়েছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির এই খবর প্রথমে কালীঘাট শাখার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার দিয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ফোন করে প্রতারণার খবর দিয়ে জানানো হয়, সাংসদের ছবি এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে কালীঘাটের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা প্রথমে বিধানসভার ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে পুরো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর সেই জালিয়াতির খবর জানতে পেরে রীতিমত ঘাবড়ে যান তিনি। দ্রুত লালবাজার সাইবার অপরাধ শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা দাবি পরিবারের
বিজেপিকে কটাক্ষ কল্যাণের
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বা অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে জালিয়াতির খবর প্রায় সময়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। এইসব কারণে একাধিক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন প্রতারকরা নানা রকম অনলাইন সিস্টেম চালু করে মানুষকে বিপদে ফেলছে। এমনকি এবার বাদ গেল না শ্রীরামপুরের সাংসদ। তবে এই ঘটনায় বিজেপিকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে অপরাধীরা নেবে আর বাড়িতে টাকা রাখলে নরেন্দ্র মোদী নেবে।’’ যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনো মতামত প্রেরণ করেনি বিজেপি।












