সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পথ কুকুরদের নিয়ে এবার বিরাট রায়ের পথে হাঁটল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court on Street Dogs)। হ্যাঁ, সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্যের সমস্ত মুখ্য সচিবদের নির্দেশ দিয়েছে যে, তাদেরকে নিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যাতে রাস্তা ও মহাসড়কে যেন কোনও বেওয়ারিশ প্রাণী বা কুকুর না থাকে। হ্যাঁ, এবার কড়া অবস্থান নিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সন্দীপ মেহতা স্পষ্ট বলেছেন যে, যে সমস্ত রাজ্যের সচিবরা এই আদেশ অগ্রাহ্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাস্তা থেকে অপসারণ করতে হবে পথ কুকুরদের
বলাবাহুল্য, দেশজুড়ে রাস্তা থেকে পথ কুকুরদের অপসারণ নিয়ে শীর্ষ আদালতে এতদিন নানারকম চর্চা হচ্ছিল। অনেকেই সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে বিরোধীতা করেছিল। তবে এবার আদালত স্পষ্ট জানালো যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাস বা রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি পথ কুকুর সম্পূর্ণরূপে সরাতে হবে। এমনকি সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে এও জানিয়েছে যে, এই সমস্ত এলাকা থেকে কুকুরদের নিয়ে গিয়ে আশ্রয়স্থলে স্থানান্তর করতে হবে।
Having regard to the “alarming rise of dog-bite incidents”, the Supreme Court on Friday ordered that every educational institution, hospital, public sports complexes, bus stand and depots, railway stations, etc must be fenced properly to prevent the entry of stray dogs.
Read… pic.twitter.com/F7Rtjg1igH— Live Law (@LiveLawIndia) November 7, 2025
আজ বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা এবং এনভি আঞ্জানিয়ারের একটি বেঞ্চে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, প্রাণীগুলিকে উপযুক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। শীর্ষ আদালত সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে থাকা সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া ক্ষেত্রেগুলিকে চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ক্রীড়াক্ষেত্র বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে যাতে সঠিকভাবে বেড়া দিয়ে ঘেরা হয় তার ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুনঃ বসবাস ১০.৯ মিলিয়ন মানুষের! ভারতের সবথেকে জনবহুল জেলার তকমা পেল উত্তর ২৪ পরগনা
এদিন বিচারপতি সন্দীপ মেহতা বলেছেন যে, রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকছে। সমস্ত রাজ্যের নোডাল অফিসারদের জাতীয় মহাসড়ক থেকে প্রাণীগুলি অপসারণ করতে হবে এবং মহাসড়ক, রাস্তা বা এক্সপ্রেসওয়েতে থাকা সমস্ত প্রাণীগুলিকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য যৌথ সমন্বিত অভিযান করতে হবে। এমনকি গবাদি পশুদের যত্ন প্রদান করতে হবে।












