বিরোধী দলনেতাকে আটকাতে রাস্তা খোঁড়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে! ফুঁসে উঠলেন শুভেন্দু

Published:

Suvendu Adhikari
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে শাসকদল এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে নির্বাচন এবং SIR নিয়ে এক উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই আবহে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ছিল ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর উদযাপন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান নিয়েও আরও একবার শাসক-বিরোধীর মধ্যে জোর তরজা শুরু হয়। জানা গিয়েছে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মান জানাতে গিয়েই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে চুপ থাকলেন না ব্রাত্য, সরাসরি বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন শুভেন্দুকে।

রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ শুভেন্দুর

সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর উপলক্ষে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত এক উদযাপন মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বঙ্কিমচন্দ্র গ্রন্থাগারে বঙ্কিমচন্দ্রের ছবিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই রাস্তায় যাওয়ার পথে তাঁকে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কারণ ওই চত্বরে রাস্তায় অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। রীতিমত পিচ উঠে গেছে। আর তা নিয়েই এবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, “আমি আসব জেনেই রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে।” এমনকি গতকাল গ্রন্থাগারের গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনদের নাম নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এরপর তিনি ওই এলাকাতেই একটি অস্থায়ী মঞ্চে ভাষণ রাখেন।

ব্রাত্য বসুকে কমিউনিস্ট বললেন শুভেন্দু!

শুক্রবার ভাষণের মঞ্চে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভাষণের মঞ্চে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনদের নাম নিয়ে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন যে, “এখন আর কারও কোনও সাড়াশব্দ নেই। সবাই বাংলা বাংলা বলে চিৎকার করে, কিন্তু এখন বঙ্কিমচন্দ্রকে অপমান করা হচ্ছে, কেউ মুখ খুলছে না। রাস্তার কী অবস্থা, সেটা এসে ওদের দেখে যেতে হয়।” এদিন ব্রাত্য বসুকেও খোঁচা দিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। শুভেন্দু বলেন, “যে যাঁর নিজের নাম পরিবর্তন করে ব্রাত্য বসুর জায়গায় ভৃত্য বসু হয়ে গিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে আর কী বলার রয়েছে।” তবে চুপ থাকেনি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি পাল্টা জবাব দেন, “বিরোধী দলনেতা আমাকে নকশাল বলেছিলেন। এখন কমিউনিস্ট বলছেন। আমি তো আগে কংগ্রেস তারপর তৃণমূল পরে বিজেপি নই। আর রইল বঙ্কিমচন্দ্রের কথা। আসুন না মুখোমুখি বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে কথা হোক।”

আরও পড়ুন: রাজভবনের অনুমোদনের অপেক্ষায়, মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়ে বড় তথ্য দিল CBI

উল্লেখ্য, ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করে বিশেষ স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিটও প্রকাশ করেন। তবে এদিন বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে কর্ণাটকে বেশ উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে কর্ণাটকের একটি সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীতকে ‘ইংরেজ বন্দনার’ সঙ্গে জুড়ে দেন সেখানকার উত্তরা কন্নড় লোকসভার কেন্দ্রের সাংসদ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেড়ি। আর তাই নিয়ে চরম কটাক্ষ করেছিলেন ব্রাত্য বসু।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join