সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) প্রকল্প নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। এবার কয়েক হাজার মানুষের নাম এই বাংলার আবাস প্রকল্প থেকে মুছে যেতে চলেছে। শুনে চমকে গেলেন তো? কোথাও আপনার নাম নেই তো এই তালিকায়? চলুন বিশদে জেনে নেবেন।
বাংলার বাড়ি প্রকল্প থেকে নাম বাদল পড়ল কয়েক হাজার মানুষের
আসলে বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় উপভোক্তাদের যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে তা একদম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আর এই প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রশাসনের হাতে বিস্ফোরক কিছু তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি উপভোক্তা টাকা নিয়েও কাজ শুরু করেননি বা নির্দিষ্ট মানদণ্ড বা শর্ত কোনওটাই পূরণ করেননি। এর ফলে তাঁদের নাম বাদ যেতে চলেছে। প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি উপভোক্তার নাম বাদ যেতে চলেছে।
সমীক্ষায় চাঞ্চল্য
এখানে জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা নিয়ে নয়ছয় হচ্ছিল, এই অভিযোগ তুলে বাংলাকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার। এরপর আবাস যোজনার আদলে বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে সেখানেও জেলা জেলা থেকে উঠে আসে দুর্নীতির অভিযোগ। যাইহোক, এখন প্রশ্ন হল, তালিকায় এদের নাম কী করে এল? প্রশাসন জানিয়েছে, যখন উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করতে সমীক্ষা করা হয়, তখন ওই সব মানুষজনের বাড়িঘর হয়তো ছিল না। কিন্তু পরে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অনেকেই। তাই যাচাই পর্বে তা ধরা পড়েছে। ফলে ওইসব উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বাংলার বাড়ির প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক বাড়ি নির্মাণ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক লক্ষ ৯৪ হাজার উপভোক্তার বাড়ি সত্যি প্রয়োজন কি না, সেটা যাচাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাথার উপর পাকা ছাদ নেই বলে রিপোর্ট দেন অফিসাররা। সেই মতো তাঁরা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ সমীক্ষক দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছা করে বেড়ার বাড়িতে থাকেন বলে জানান। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। এছাড়াও কিছু মানুষ নিজে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন তাঁদের কাঁচা বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন পাকা বাড়ি বানিয়েছেন। কাকদ্বীপ ও বারুইপুর ব্লকে সব থেকে বেশি উপভোক্তার নাম বাদ যেতে চলেছে। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। অপরদিকে যারা যোগ্য তাঁদের শীঘ্রই টাকা পাঠাবে সরকার বলে খবর।












