সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলাজুড়ে চলছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। তবে তা শুরু হতেই রাজ্যে একের পর এক দৃশ্য সামনে আসছে। কেউ ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই থাকতেন ১০ বছর ধরে, কেউ আবার ২০ বছর। বিজেপির দাবি, ৪ তারিখ থেকে যেন ফাঁকা হচ্ছে গোটা বাংলা। কার্যত ঘর বন্ধ রেখে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আর তেমনই দুটি ভিডিও পোস্ট করলেন এবার রাজ্যের বিরোধী জনতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on SIR)।
ভিডিও পোস্ট শুভেন্দুর
আজ এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, এসআইআর শুরু হতেই রাজ্যে অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এমন এমন তথ্য সামনে আসছে যা সত্যিই ভাবার বাইরে। কখনো রাজারহাট-নিউটাউন এলাকার অবৈধ বাংলাদেশি কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কখনও গুলশান কলোনিতে গিয়ে গোলকধাঁধায় পড়ছে বুথ লেভেল অফিসাররা। সবথেকে বড় ব্যাপার, ঘিঞ্জি এলাকায় এত মানুষজনের মধ্যে ভোটার খুঁজতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আবাসিকদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই বহিরাগত। এমনকি এলাকায় ২ লক্ষ লোক থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪০০০ ভোটার। কীরকম অবাস্ত ভাবে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে তো কিছু বলার নেই। কারণ, সেখানে মুসলিম ভোটারদের মধ্যে সবই বাংলাদেশী। দুটি ভিডিওতে একই রকম চিত্র তুলে ধরলাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর বিধানসভায় গোঁড়ের হাট খাল পাড়ে থেকে বাংলাদেশী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের পালানোতে বস্তি অনেকটাই ফাঁকা। অন্যদিকে হাওড়া জেলার রামরাজাতলা থেকে পালাতে ব্যস্ত অবৈধ বাংলাদেশীরা।
এসআইআর (SIR) শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বিচিত্র দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, অদ্ভুত সব তথ্য সামনে আসছে। কখনো রাজারহাট – নিউ টাউন এলাকার অবৈধ বাংলাদেশী কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ, কখনো গুলশান কলোনিতে গিয়ে কার্যত গোলক ধাঁধায় পড়ছেন বিএলও-রা। ঘিঞ্জি এলাকার এত মানুষজনের মধ্যে… pic.twitter.com/6aPyjX1M9U
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) November 9, 2025
আরও পড়ুনঃ দেশের সবথেকে উঁচু সড়ক থেকে প্রেরণা রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন Himalayan-এ, জানুন বিশেষত্ব
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই বাংলায় এই বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। আর তারা হাতে তুলে দিচ্ছেন এনুমারেশন ফর্ম। ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ জোরকদমে চলছে। তবে এসআইআর নিয়ে এখন মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এমনকি রাজ্যজুড়ে আতঙ্কেই অনেকে আত্মহত্যা করছে, যা নিয়ে শাসকদলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চরম শোরগোল।












