সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে চলেছে সূরাপ্রেমীদের। নতুন বছরের আগেই মদের দাম বাড়ানোর (Liquor Price Hike) পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হ্যাঁ, সমস্ত আবগারি দপ্তরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি ব্র্যান্ডের মদের দাম বাড়বে। তবে আমজনতা স্বস্তি পাবে একদিক থেকে।
জানা যাচ্ছে, এই নতুন নীতির আওতায় বিয়ার বাদে সমস্ত দেশী ও বিদেশি মদের উপর শুল্কের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি করা হবে। আর এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত মদ উৎপাদক, ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেল বিক্রেতাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পুরনো দামের স্টক খালি করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই তারিখের পর আর কোনও পুরনো দামে মদ বিক্রি করা যাবে না।
জারি হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি
ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এমনকি তার কপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী জানা গিয়েছে, যারা সমস্ত স্টক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে পারবে না, তাদের উপর নতুন হার প্রযোজ্য হবে। আর সেই সমস্ত বোতলে নতুন দামের স্টিকার লাগানো হবে। এমনকি অর্থ দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই মদের বাজারে কিছুটা রদবদল দেখা যেতে পারে বলে অনুমান। কিন্তু প্রশাসন মনে করছে, ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতির ফলে সেরকম কোনও সমস্যা হবে না। যদিও এখনও পর্যন্ত কোন মদের দাম কতটা বাড়বে, তা নিয়ে কোনও তথ্য হাতে আসেনি।
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজ্য সরকারের রাজস্ব থেকে আয় অনেকটাই বাড়বে। তবে তা কতটা বৃদ্ধি পাবে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারছে না আবগারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। কিন্তু ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার একমাস পর রাজ্য সরকারের রাজস্ব ঠিক কতটা বাড়ল, সে বিষয়ে তথ্য সামনে আসবে।
আরও পড়ুনঃ ৩১৫ কোটির সাইবার জালিয়াতি! পবন রুইয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
ভোট ব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করবে মদের দাম?
বলাবাহুল্য, বছর ঘুরলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই মদের দামের ঊর্ধ্বগতি রাজ্যের রাজনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে বলেই অনুমান ওয়াকিবহল মহল। কারণ, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঘোষিত হবে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। তাই দাম বৃদ্ধির কারণে যদি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পায়, তাহলে রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে তা ব্যয় করা হতে পারে বলেই অনুমান করছে বিশেষজ্ঞরা।












