প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া। যা নিয়ে ক্রমেই বড় বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও BLO দের মারধর করা হচ্ছে, কোথাও আবার BLA দের মার খেতে হচ্ছে। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোনা গিয়েছে বহু মানুষের SIR আতঙ্কে আত্মহত্যার খবর। রাজ্যজুড়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সেই আতঙ্ক। আর এই অশান্তি এবং আতঙ্কের মাঝে ফের কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শাহের ইস্তফা নিয়ে দাবিও করেন তিনি।
কেন্দ্রকে ফের হুঁশিয়ারি মমতার
SIR আতঙ্কে রাজ্য জুড়ে যেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণভাবে দায়ী করছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে। আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আজ মানুষের হৃদয় কাঁদছে, আর বিজেপি হাসছে। তবে স্পষ্ট করে জানাই, জেনুইন বা কোনো যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলব না। যত আঘাত করবে, তত প্রত্যাঘাত হবে।”
কমিশনকে চরম কটাক্ষ মমতার
জানা গিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। সম্ভবত তারপরই ঘোষণা হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। কম সময়ের মধ্যে এত কাজ কীভাবে সম্ভব সব নিয়ে কমিশনারকে ঠাট্টা করলেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, “হ্যালো স্যার, ক্যান ইউ হিয়ার মি?” খানিক থেমে যোগ করেন, “আমি মনে করি, এসআইআর স্টে করা উচিত। কোটি মানুষ এখনও ফর্ম পাইনি।” এসআইআরের নামে সুপার ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় কেন্দ্রের দেওয়া ১৩৪৭ কোটি হস্তান্তর! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু
শাহের ইস্তফা দাবি মমতার
উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন “ খবর রটেছে যে SIR ঘোষণা হতেই নিউটাউনের বিভিন্ন বস্তি খালি হচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গারা থাকত বলে অভিযোগ। আচ্ছা কোথা থেকে এল রোহিঙ্গারা? বর্ডার কার দায়িত্বে? দু-মুখো সাপ। একবার বলছো ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট, আবার বলছো ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যারা এসেছে, তাদের বাদ দেওয়া হবে না।” তাই সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের দায় কেন অমিত শাহ নেবেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। এরপরই অনুপ্রবেশের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে সুর চড়ান মমতা।












