ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের পর হুড়মুড়িয়ে দাম কমল তেলের!

Published on:

Crude oil prices fall after Iran-Israel conflict

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কিছুদিন আগে পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছিল অন্যতম সংবাদ শিরোনাম। তবে আপাতত সেই খবরের পরিমাণ কমেছে, কমে গিয়েছে ইরান-ইজারয়েল নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তর্কবিতর্ক বা আলোচনা পর্বও। কিন্তু তাই বলে যে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা থেমে আছে তেমনটা নয়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পরও দুই দেশের মধ্যে রেষারেষি কিন্তু এখনও চলমান!

তবে সেসব সত্ত্বেও দুই দেশের উত্তেজনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কমে গেল তেলের দাম (Crude Oil Prices Fall)! হ্যাঁ, সদ্য প্রকাশিত বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, 2023 সালের মার্চের পর অপরিশোধিত তেলের দামে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকালে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি কিছুটা বাড়লেও উভয় ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক এই সপ্তাহে অন্তত 12 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তেলের দাম আরও কমবে

সম্প্রতি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আবহে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড় আশঙ্কা। তাতে নতুন মাত্রা যুগিয়েছিল ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি।

আসলে, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্য পথ হরমুজ প্রণালী দিয়ে গোটা বিশ্বে তেল, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য শহর নানান ও সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ফলে সেই ব্যস্ত বাণিজ্য পথ বন্ধ হলে স্বাভাবিকভাবেই তেলের দাম বাড়বে! তবে সেই আশঙ্কার মাঝেও এক ধাক্কায় মূল্যবৃদ্ধির বদলে কমে গেল তেলের দাম।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

অবশ্যই পড়ুন: আর রক্ষে নেই, ইউনূসের ওপর খেপে গেলেন তাঁর শিষ্যরাই!

বহু বিশ্লেষকের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সত্ত্বেও তেল সরবরাহে কোনও বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেনি। ভারতে তেলের সরবরাহ একেবারেই ঠিকঠাক রয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, তেল সংকটের আশঙ্কায় বর্তমানে বাজারে তেলের সরবরাহ আরও বেড়ে গিয়েছে।

বেশ কয়েকটি সংস্থা দাবি করছে, 2025 সালে ব্যারেল প্রতি 67 ডলার মূল্যের তেল 2026 সালে পৌঁছে ব্যারেল প্রতি 60 ডলারে গিয়ে ঠেকবে। অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে তেলের দাম আরও কমে যাবে বলেই দাবি একাধিক তেল সরবরাহকারী সংস্থার সহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥