অনিল আম্বানির ৩,০৮৪ কোটির ৪০টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

Published:

ED Seized Anil Ambani Property worth 3084 Crore
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিপাকে রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি। মূলত, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋনের অর্থ অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার তাতেই ভারতীয় শিল্পপতির 40টি বহুমূল্যবান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। জানা যাচ্ছে, অনিলের ওই সম্পতির মোট বাজার মূল্য কমপক্ষে 3 হাজার 84 কোটি টাকা (ED Seized Anil Ambani Property)। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত 31 অক্টোবর প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে মুকেশ আম্বানির দাদার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

অনিল আম্বানির বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকা

ANI এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া ঋণ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন নামে অনেককেই অর্থ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আম্বানির বিরুদ্ধে। মূলত সে কারণেই অবশেষে অনিলের 3 হাজার কোটিরও বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সূত্রের যা খবর, অনিল আম্বানির বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলির তালিকা রয়েছে, মুম্বইয়ে আম্বানি পরিবারের পালি হিল রেসিডেন্স এবং দিল্লিতে অবস্থিত রিলায়েন্স সেন্টার প্রপার্টিও।

এখানেই শেষ নয়, দিল্লি থেকে শুরু করে নয়ডা, মুম্বই, গাজিয়াবাদ, থানে, পুনে, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এমনকি ইস্ট গোদাবলীতে অবস্থিত অনিল গ্রুপের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমরা আম্বানি গ্রুপের যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি, তা সাধারণ মানুষেরই কাজে লাগবে। এতে উপকৃত হবেন অনেকে।’

অবশ্যই পড়ুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! নদিয়ায় কাঠ মিস্ত্রীর বাড়িতে সকাল সকাল হানা ED-র

উল্লেখ্য, বহু আগেই অনিলের সংস্থার বিরুদ্ধে 17,000 কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। যার মধ্যে কমপক্ষে 3,000 কোটি টাকা ঋণ বাবদ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। জানা যায়, রিলায়েন্স হোম ফিনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফিনান্স লিমিটেডের তোলা পাবলিক ফান্ড নিয়ে হয়েছিল জালিয়াতি। তদন্ত থেকে ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের এক্সপোজারের মাধ্যমে পরবর্তীতে ঘুর পথে বিভিন্ন ফান্ড রিলায়েন্স হোম ফিনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফিনান্স লিমিটেড পাঠানো হয়। এভাবেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে অনিল আম্বানির সংস্থার বিরুদ্ধে। এইসব মিলিয়েই চলতি বছরে একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। এরপরই দীর্ঘ তদন্ত শেষে অনিলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join