সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান সময়ে বেকারত্ব যেন এক প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরির সুযোগ সীমিত হওয়ায় এখন সবাই ব্যবসার দিকে পা বাড়াচ্ছে। স্বল্প বিনিয়োগে প্রচুর পরিমাণে মুনাফা পাওয়া যায় এমন ব্যবসা (Low Investment Business) অনেকেই খুঁজছেন। কিন্তু সঠিক বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না। আর এমনই একটি লাভজনক ব্যবসা হল ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা। স্বল্প বিনিয়োগ শুরু করে এই ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে লাভ পাওয়া যায়। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। কারণ ঝাড়ু এমন একটি পণ্য, যার চাহিদা সারা বছর আকাশছোঁয়া থাকে।
কেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা লাভজনক?
আসলে ঝাড়ু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি জিনিস। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জন্য এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত একটি পণ্য। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ু পাওয়া যায়। যেমন ঘাসের ঝাড়ু, নারকেল পাতার ঝাড়ু, খেজুরের পাতা বা কর্ন হাস্ক দিয়ে তৈরি ঝাড়ু ইত্যাদি। পাশাপাশি বাজারে প্লাস্টিকের ঝাড়ুও রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ঝাড়ুর চাহিদা এখন সব থেকে বেশি। শহর বলুন বা গ্রাম, সব জায়গাতেই ঝাড়ুর প্রয়োজন হয়। ফলে এটি এমনি একটি ব্যবসা, যেখানে কোনরকম চাহিদার অভাব পড়ে না।
কীভাবে শুরু করবেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা?
ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা মূলত দুইভাবে শুরু করতে পারেন। প্রথমত হাতের কাজ এবং দ্বিতীয়তে মেশিনের মাধ্যমে। যদি ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে শ্রমিকদের সাহায্যে ঝাড়ু তৈরি করতে পারেন বাড়িতে বসেই। তবে যদি দ্রুত উৎপাদন এবং ভালো মানের পণ্য তৈরি করতে চান, তাহলে ছোট মেশিন ব্যবহার করাই ভালো। ঝাড়ু তৈরি করার জন্য যে কাঁচামালগুলি লাগবে সেগুলি হলো, ব্রুম হ্যান্ডেল ক্যাপ, প্লাস্টিক টেপ, স্ট্র্যাপিং ওয়্যার, ঘাস বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান। আর এই সমস্ত উপাদানগুলির সাহায্যে ঝাড়ুর আকৃতি নির্ধারণ করা হয় এবং এটিকে মজবুতভাবে বানানো হয়, যাতে দীর্ঘদিন ধরে টেকসই হয়।
ঝাড়ুর চাহিদা কেমন?
ভারতের বাজারে মূলত ফুল ঝাড়ু এবং সিঙ্ক ঝাড়ুর চাহিদা বেশি থাকে। এই ঝাড়ুগুলি হাত দিয়ে তৈরি করা হয় এবং সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করার কারণে বাজারে চাহিদা আকাশছোঁয়া। গ্রাম বলুন বা শহর, ঝাড়ুর বাম্পার চাহিদা সব জায়গাতেই রয়েছে। তাই ব্যবসা কোথায় শুরু করবেন সেটা নিয়ে ভাবার কোন প্রশ্নই ওঠে না। কোয়ালিটি বজায় রাখতে পারলে সফলতা আসবেই।
বিনিয়োগ কত লাগবে এবং লাভ কত হবে?
ঝাড়ুর ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যেটি ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে যদি শুরু করেন তাহলে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়। আপনার উৎপাদিত ঝাড়ুর গুণমান যত ভালো হবে, তত আপনি দাম বেশি পাবেন। বড় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করলে বা অনলাইনে বিক্রি করলেও ভালো পরিমাণে মুনাফা পেতে পারেন।
তাই কম খরচে লাভজনক একটি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে ঝাড়ু তৈরীর ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য সেরা বিকল্প। বাজারে এর চাহিদা কখনোই কমবে না। তাই সঠিক পরিকল্পনা করে এই ব্যবসা শুরু করুন, সাফল্য ঠিকই আসবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |