কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে রয়েছে বাংলা। বাংলার নির্ভয়াকে বিচার পাইয়ে দিতে রাস্তায় নেমে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু এরই মাঝে বাংলার জন্য রইল খারাপ খবর। আর এই খারাপ খবর শোনার জন্য কেউই হয়তো বিশেষ করে রাজ্য সরকার প্রস্তুত ছিলেন না। আপনিও জানলে অবাক হবেন, রাজ্যে এক ধাক্কায় বিরাট পরিমাণে বিনিয়োগ কমল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
রাজ্যে বিনিয়োগ কমল ৯৮%!
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। আর এই রিপোর্ট যে মোটেই ভালো নয় তা সকলেই বলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে তিন মাসে নাকি বিনিয়োগের প্রস্তাব কমল ৯৮% অবধি। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। কয়েক হাজার কোটি টাকার লগ্নির প্রস্তাব কমে গিয়েছে বাংলায়। গত জানুয়ারি মাসেই শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ১৬,২৫১ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯৩ কোটিতে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-এর জানুয়ারির পরে মাত্র তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রস্তাব কমেছে ৯৮.৮১%। তবে বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের শিল্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান দেবেন্দ্র গয়াল বলেন, “লগ্নির প্রস্তাব এ ভাবে কম-বেশি বলা যায় না। এটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। বছর শেষে সার্বিক ছবিটা স্পষ্ট হবে।” দু’মাসেই মোট তিনটি করে লগ্নি-প্রস্তাব পেয়েছে রাজ্য। জানুয়ারিতে এসেছে ক্যাপ্টেন স্টিলের ইস্পাত প্রকল্প, ইন্ডিয়ান অয়েলের সালফার উৎপাদন এবং অ্যালুমিনিয়াম কারখানার প্রস্তাব। এর জেরে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।
লগ্নির পরিস্থিতি যে খারাপ তা মানতে নারাজ বাজার বিশেষজ্ঞরা। যেমন সম্প্রতি ভারত চেম্বারের সভাপতি এন জি খেতান বলেন, ‘জানুয়ারিতে যে বড় প্রস্তাব এসেছে, তারা রাজ্যে আগে থেকেই আছে। নতুন সংস্থা নয়। বাংলার জমিনীতি, আর্থিক উৎসাহ নীতি, আইন-শৃঙ্খলা শিল্পের জন্য সদর্থক নয়। তাই বাইরে থেকে পুঁজি আসে না। জানুয়ারি-এপ্রিলের ফারাকে এটা স্পষ্ট।’