সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ভারতে হু হু করে বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। ভারতের বাড়তি বৈশ্বিক আকর্ষণের উপর জোর দিয়ে, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সম্প্রতি জানিয়েছেন যে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ (FDI) প্রবাহ এখন ১১২টি দেশ থেকে আসছে, যা ২০১৩-১৪ সালে ছিল ৮৯টি দেশে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ডেটা দেশের বাণিজ্যিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়েছে। তবে এই বিদেশী লগ্নি টানা ইস্যুতে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে বাংলা বলে একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্য ভিত্তিক বিদেশী লগ্নি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। আর সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলুন জেনে নেবেন আপনি।
লগ্নি টানতে ব্যাকফুটে বাংলা!
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে বাংলায় যাতে বিদেশী লগ্নি আসে সেজন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। বিদেশে রোড শো, বিদেশি প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ, শিল্প সম্মেলন প্রভৃতি অনেক কিছুই করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় নিযুক্ত আমেরিকার কনসাল জেনারালের সঙ্গে সম্প্রতি বাংলায় সে দেশের লগ্নির পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তারপরেও যে বাংলার অবস্থা এতটা শোচনীয় হবে কেউ ভাবতে পারেনি। হরিয়ানার মতো ছোট রাজ্য অবধি বাংলাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
বাণিজ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি টানায় দেশের প্রথম দশ রাজ্যের তালিকায় নেই বাংলা। পশ্চিমবঙ্গকে টপকে গিয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, কেরলের মতো ছোট রাজ্যগুলি। এদিকে আবার মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাডু বা উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্য বাংলার থেকে অনেক অঙ্কে এগিয়ে। জানলে আকাশ থেকে পরবেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রকের তৈরি এই রিপোর্ট বলছে, গত বছর রাজ্যে মোট বিদেশি লগ্নি এসেছে ২৫৩৪ কোটি টাকার। সেখানে রাজ্য ভিত্তিকে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একাদশ। প্রথম স্থানে থাকা মহারাষ্ট্রে এসেছে প্রায় ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকার এফডিআই। তার পরে কর্নাটক ও দিল্লিতে এসেছে যথাক্রমে ৫৬,০০০ কোটি এবং ৫১,৫৪০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের নয়া আইনে বাঁচবে টাকা! ১০ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগলেই আর দিতে হবে না টোল
বাংলার আগে রয়েছে হরিয়ানা যার লগ্নি এসেছে ২৬,৬০০ কোটি টাকা, কেরলের লগ্নি এসেছে ৩৩৩০ কোটি ও রাজস্থানের এসেছে ৩১৭০ কোটি টাকা মতো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এরকম কেন হল? বিশিষ্ট মহলের মতে, বিদেশি লগ্নি মূলত সেই রাজ্যগুলিতেই যায় যেখানে লগ্নির সুষ্ঠু পরিবেশ যেমন রয়েছে, তেমনই আছে সংস্থার নিরাপত্তা ও শান্তি। বাংলার এক শিল্প-কর্তার কথায়, ‘‘সরকার প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির আনতে চেষ্টা করছে। কিন্তু জমি নীতি থেকে আইন-শৃঙ্খলা বা তোলাবাজি— এ সবের যে অভিযোগ প্রায়শই ওঠে, তার প্রভাব তো থাকবেই। তার উপরে এখন সব রকম ভাতা ও প্রকল্প বন্ধ রেখেছে রাজ্য। তারও নেতিবাচক প্রভাব থাকে বিদেশি লগ্নিতে।’’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |