সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ আলোচনার পর বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে এগোল ভারত ও ব্রিটেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে বহু প্রতিক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। হ্যাঁ, নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটেনের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার মিলেই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তবে এই চুক্তির ফলে যে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে, এমনটা নয়। বরং 34 বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বার্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে, যা দুই দেশের জন্য সত্যিই ইতিবাচক।
ভারতের লাভ কোথায়?
উল্লেখ্য, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সবথেকে বড় সুবিধা পাবে ভারত। বিশেষ করে ভারতের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতে বিরাট প্রভাব পড়বে। বহুদিন ধরেই এই খাত মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছিল। তবে এবার নতুন করে তারা রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এবার বিশেষ কিছু পণ্যের উপর ফ্রি শুল্ক রপ্তানির সুবিধা পাবে ব্রিটেন। পণ্যগুলোর তালিকায় থাকছে সামুদ্রিক মাছ, বস্ত্র ও পোশাক, গয়না, চামড়াজাত পণ্য এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও টুলস। আর এই সমস্ত খাতে রপ্তানি করে এখন থেকে ভারত ব্রিটেনে পণ্য পাঠাতে পারবে বিনা শুল্কে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থান যে আরো মজবুত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্রিটেন থেকে ভারতে কী কী আসবে?
এই চুক্তির আওতায় ব্রিটেন থেকেও বেশ কিছু জনপ্রিয় পণ্য ভারতের বাজারে আসবে। হ্যাঁ, খুব কম শুল্কে এই পণ্যগুলি দেশে ঢুকবে। গড়ে মোটামুটি 15% থেকে কমে 3% এর আশেপাশে শুল্ক নির্ধারণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় থাকছে হুইস্কি ও অন্যান্য অ্যালকোহল, প্রিমিয়াম গাড়ি, চকলেট, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং মহাকাশ প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই পণ্যগুলি আমদানি হওয়ায় ভারতীয় ক্রেতারা বিশ্বমানের পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং গ্রাহকদের চাহিদাও বাড়াবে।
আরও পড়ুনঃ গেরুয়া গেঞ্জি পরিহিত ওটা কে! ঘোষবাবুর কুকীর্তির ভাইরাল ভিডিও, শোরগোল বাংলায়
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এই চুক্তির পথ এতটাও সহজ ছিল না। 2017 সাল থেকেই চলছিল এ নিয়ে আলোচনা। তবে মূল জট ছিল তিনটি বিষয়ে। প্রথমত, ব্রিটেন থেকে আসা অ্যালকোহল ও গাড়ির উপর ভারতের শুল্ক। দ্বিতীয়ত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের রপ্তানি অনুপাত এবং তৃতীয়ত, ভারতীয় কর্মীদের অভিবাসন নীতি। উল্লেখ্য, 2021 সালে বরিস জনসনের আমলে এ নিয়ে নতুন করে আলোচনাও শুরু হয়। কিন্তু লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান আপত্তি জানিয়ে পদত্যাগ করেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |