সবসময় চলবে, ৩৬৫ দিনই হবে আয়! মাত্র ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগে শুরু করুন এই সুপারহিট ব্যবসা

Published on:

Puffed Rice Business

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: অফিসের চাপে হাপিয়ে উঠেছেন? মাস শেষে মাইনের চিন্তায় দিন কাটছে? তাহলে আপনার জন্য আমরা একটি দারুণ ব্যবসার আইডিয়া দিচ্ছি, যেখানে সারা বছরই মুনাফা হবে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসায় বিনিয়োগ কম এবং লাভের পরিমাণ প্রচুর। হ্যাঁ, আমরা বলছি মুড়ির ব্যবসার (Puffed Rice Business) কথা। 

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

মুড়ি যা বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ড ইত্যাদি রাজ্যে ঝালমুড়ি নামে পরিচিত, আবার মুম্বাইতে ভেলপুরি, আবার ব্যাঙ্গালোরে চুরমুরি হিসেবে জনপ্রিয়। এমন কি এটি মন্দিরের প্রসাদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। মুড়ি এমন একটি খাবার, যা বড়লোক থেকে গরিব সবাই পছন্দ করে এবং সারা বছর চাহিদা থাকে। তাই বিনিয়োগ কম হলেও লাভের পরিমাণ হতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা। 

কেন মুড়ির ব্যবসা শুরু করবেন? | Puffed Rice Business|

মুড়ির ব্যবসা শুরু করার পিছনে প্রচুর কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হল কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তাছাড়া সারাবছর মুড়ির চাহিদা থাকে, এটি সিজনাল কোন খাবার নয়। যে কোন গ্রাম বা শহর থেকেই সহজে এই ব্যবসা চালানো যায়। সব থেকে প্লাস পয়েন্ট হল, রোজকার ব্যবহৃত একটি খাদ্যদ্রব্য মুড়ি, বিক্রি বন্ধ হওয়ার কোনরকম আশঙ্কা নেই। এছাড়া আপনি পাইকারি এবং খুচরা উভয়ভাবে মুড়ি বিক্রি করতে পারবেন। 

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

মুড়ি তৈরির জন্য কী লাগবে?

আমরা সকলেই জানি মুড়ি তৈরীর প্রধান কাঁচামাল ধান বা চাল। এটি সহজেই যে কোন গ্রাম বা শহরের পাইকারি বাজার থেকে কেনা যায়। ভালো মানের ধান ব্যবহার করলে মুড়ির মান উন্নত হবে এবং বাজারে বেশি দাম পাওয়া যাবে। ধান বা চালের পাশাপাশি আপনার লাগবে মুড়ি ভাজার একটি উনুন বা মেশিন। এছাড়া প্যাকেট করার জন্য প্লাস্টিক ব্যাগও লাগবে। আপনি যদি বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে দোকান বা ছোট কারখানা তৈরি করতে হবে। 

কত টাকা বিনিয়োগ লাগবে?

এই ব্যবসা নির্ভর করবে আপনার ব্যবসার পরিসরের উপর। ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করলে আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। মাঝেরি পরিসরে শুরু করলে ১ লক্ষ টাকা থাকে ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার বড় পরিসরে শুরু করলে ৫ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে পারেন।

মুড়ি তৈরিতে খরচ হয় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। কিন্তু বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। পাইকারি বাজারেও আপনি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি হামেশাই বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা আপনার পকেটে লাভ থাকবে। 

আইনি কাগজপত্র লাগবে?

যেহেতু মুড়ি একটি খাদ্যপণ্য, তাই এই ব্যবসা শুরু করতে Food Safety and Standards Authority of India (FSSAI) থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এর পাশাপাশি বড় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন লাগবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদনের জন্য ট্রেড লাইসেন্স লাগবে এবং ব্র্যান্ড লোগো ও প্যাকেজিং অনুমোদন লাগবে। 

কত টাকা আয় হতে পারে?

মুড়ির ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যেখানে সঠিক বাজার থাকলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। যদি প্রতিদিন ১০০ কেজি মুড়ি তৈরি করেন, তাহলে উৎপাদনে খরচ হবে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা। পাইকারি বাজারেও বিক্রি করলে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হবে। অর্থাৎ, প্রতিদিন আপনার ১৫০০ টাকা লাভ থাকবে, যেখানে মাসিক আয় দাঁড়াচ্ছে ৪৫,০০০ টাকা। বড় পরিসরে যদি ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা কোন ব্যাপার না। 

কোথায় বিক্রি করবেন?

মুড়ির বাজার তো সব জায়গায় রয়েছে। শুধু সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো দরকার। আপনি স্থানীয় মুদি দোকান বা হোলসেল দোকানেও সরবরাহ করতে পারেন। এছাড়া সুপার মার্কেট বা বড় গুদামঘরেও সরবরাহ করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন প্লাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও মুড়ি বিক্রি বাড়াতে পারেন।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পাসে রেলে চাকরি, গ্রুপ ডি-তে ৩২৪৩৮ পদে নিয়োগ, মিলবে DA থেকে TA

মুড়ি তৈরির ব্যবসা কম বিনিয়োগে সব থেকে বেশি লাভের অন্যতম একটি সেরা উপায়। এটি এমন একটি ব্যবসা, যা সারা বছর ধরে চলে এবং এর গ্রাহক সংখ্যা সীমাহীন। তাই আপনি যদি অল্প বিনিয়োগে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে মুড়ির ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য সেরা বিকল্প।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য Join Group
চাকরির খবরের জন্য Join Hood Jobs
রাশিফলের জন্য Join Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group