মুম্বইঃ ভারত ও এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মুকেশ আম্বানি। তিনি তাঁর ব্যবসাসমূহ এবং তা থেকে উপার্জন ও সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণে সবসময় চর্চায় থাকেন। আর এবার খেলাধুলা ও ওটিটি দুনিয়ায় এক বড় পদক্ষেপ নিলো মুকেশ আম্বানির সংস্থা Jio। কারণ, সম্প্রতি এই খবর সামনে এসেছে যে রিলায়েন্স এবং ওয়াল্ট ডিজনি এক হয়ে যাচ্ছে। কারণ, ওয়াল্ট ডিজনির শেয়ার কিনে নিয়েছে Jio। আর এই একত্রিকরণের ফলে যে এটি দেশের বৃহত্তম বিনোদন সংস্থা হতে চলেছে। আর এই একক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নেট ভ্যালু হয় প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কিন্তু ভারতের কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া রেগুলেশন তার প্রাথমিক মূল্যায়নে বলেছে যে এই দুই কোম্পানির এক হয়ে যাওয়া দেশের মধ্যে বিনোদন সংস্থার প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেবে। কারণ এই সংস্থাগুলি ক্রিকেট সম্প্রচারের জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ইতিমধ্যে। সেই কারণে এই প্রস্তাবকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সিসিআই একটি নোটিশের মাধ্যমে ডিজনি এবং রিলায়েন্সকে এই বিষয়টি জানিয়েছে বলে খবর। কমিশন এই দুই কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে এই প্রস্তাবের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে।
Jio Cinema ও Hotstar এক হলে অনেক চ্যানেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার
রিলায়েন্স এবং ওয়াল্ট ডিজনির মিডিয়া এবং বিনোদন সংস্থাগুলির এক হওয়ার পরে যে নতুন বিনোদন সংস্থা তৈরি হবে, সেখানে ১২০ টি টিভি চ্যানেল এবং দুটি স্ট্রিমিং পরিষেবা থাকবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে এটি একটি স্বতন্ত্র ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে। রিলায়েন্স সূত্রে এই সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। যদিও রমনা কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা এখনো হয়নি। তবে এমনটা হলে এর সরাসরি প্রতিযোগিতা হবে জি এন্টারটেইনমেন্ট, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজনের সঙ্গে।
ব্যবসার ক্ষেত্রে কি প্রভাব পড়বে?
রিলায়েন্স, ডিজনি এবং সিসিআই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সূত্রের খবর, এই একক প্ল্যাটফর্মে আরআইএল এবং ডিজনি চ্যানেল কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অ্যান্টিট্রাস্ট বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত এই প্রস্তাবের ফলে কঠোর তদন্তের মুখোমুখি হতে পারে। বিশেষ করে খেলাধুলার অধিকারের বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। তবে এই একত্রিকরণের বিষয়ে দ্রুত অনুমোদন পেতে উভয় সংস্থা ১০ টিরও কম টেলিভিশন চ্যানেল বিক্রি করতে ইচ্ছুক। এর ফলে রিলায়েন্স-ডিজনি আইপিএল সহ শীর্ষ লিগের জন্য ডিজিটাল এবং টিভি ক্রিকেটের অধিকার পাবে। তবে CCI একটি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে এর ফলে লাইভ ইভেন্টের সময় বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য হার বাড়িয়ে দিতে পারে।