মুম্বইঃ ফের একবার কপাল পুড়ল ব্যবসায়ী অনিল আম্বানির। নতুন কিছু ব্যবসার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না। টানা ৫ বছরের মতো তাকে ব্যান হয়ে যেতে হল। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি।
ব্যান হয়ে হয়ে গেলেন অনিল আম্বানি!
একটা সময় বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকত তাঁর নাম। পৃথিবীর ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি থাকাকালীন অনিল আম্বানির মত সম্পত্তির পরিমান ছিল ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা। এমনিতে মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানি বিগত কয়েক বছর ধরে ঋণ ও নিজের একের পর এক কোম্পানি বিক্রি করা নিয়ে শিরোনামে রয়েছে। তাঁর একের পর এক কোম্পানি কীভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে বরাবরই আলোচনা হয়। এবার অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশন নিল সেবি (SEBI)। ৫ বছরের জন্য মুকেশ আম্বানির ভাইকে ব্যান করে দেওয়া হল।
চরম পদক্ষেপ নিল SEBI
কথাতেই আছে না, অভাগা যেদিকে যায় নদী শুকায়ে যায়। অনিল আম্বানির ক্ষেত্রেও এখন এই কথাটা প্রযোজ্য বলে মনে করছেন অনেকে। ঋণে জর্জরিত শিল্পপতি অনিল আম্বানির সমস্যা আরও বেড়েছে। রিলায়েন্স হোম ফিনান্সের প্রাক্তন কর্তা সহ ২৪ জনকে সিকিউরিটিজ মার্কেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। SEBI আম্বানিকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে এবং পাঁচ বছরের জন্য সিকিউরিটিজ মার্কেটে অংশ নিতে নিষিদ্ধ করেছে। এই সময়ের মধ্যে, তিনি কোনও তালিকাভুক্ত সংস্থা বা সেবিতে নিবন্ধিত কোনও মধ্যস্থতাকারীকে পরিচালক বা কেএমপি (কী ম্যানেজারিয়াল পার্সোনেল) হিসাবে যোগদান করতে পারবেন না।
এর পাশাপাশি রিলায়েন্স হোম ফিনান্সকে ৬ মাসের জন্য সিকিউরিটিজ মার্কেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে সেবি। এই খবরের পরই অনিল ধীরুভাই আম্বানি গ্রুপের শেয়ারে ব্যাপক পতন দেখা যাচ্ছে। গ্রুপটির শেয়ার দর কমেছে ১৪ শতাংশ।
অনিলের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
জানলে অবাক হবেন, ২২২ পাতার চূড়ান্ত নির্দেশে সেবি জানিয়েছে যে অনিল আম্বানি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সহায়তায় রিলায়েন্স হোম ফিনান্স থেকে অর্থ আত্মসাতের জন্য জালিয়াতির ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এটি সহায়ক সংস্থাগুলির কাছ থেকে ঋণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। সংস্থার বোর্ড এই জাতীয় ঋণ অনুশীলন বন্ধ করার জন্য কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছিল এবং কর্পোরেট ঋণের নিয়মিত পর্যালোচনা করেছিল। কিন্তু কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। সেবি জানাচ্ছে, “এটা ইঙ্গিত দেয় যে ব্যবসায়ের কাজকর্মে একটি বড় ত্রুটি ছিল।”