ব্যবসায়িক বুদ্ধি কিন্তু সবার থাকে না। আর একটা ব্যবসা ঠিকঠাকভাবে দাঁড় করানোও কিন্তু মোটেই মুখের কথা নয়। কিন্তু এমনই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন এক ভারতীয় দম্পতি। আমেরিকার মতো দেশে সুখের এবং ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে আজ দেশের মাটিতে সকলকে টেক্কা দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন এক দম্পতি।
আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজিন দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা হবে যাদের লড়াই সম্পর্কে শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। আজ কথা হচ্ছে ওমর এবং দর্শিনী প্যাটেলকে নিয়ে। ২০১২ সালে, দুজনে গুজরাটের আহমেদাবাদে প্রথম কাপ কেকের দোকান খোলেন। দোকানের নাম ‘Buttercup’। বর্তমানে এই এই দোকানের মাসিক আয় ৬ লক্ষ টাকা। এই দোকানের কাপ কেক মানুষ এতটাই পছন্দ করেন যে মুহূর্তের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যায়।
২০১১ সালে অমর ও দর্শিনী প্যাটেল সিদ্ধান্ত নেন ভারতে ফিরে আসার। আমেরিকার মতো দেশ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার বেতন ছেড়ে আসা মোটেও সহজ ছিল না এই দম্পতির পক্ষে। জীবিকা নির্বাহ কীভাবে করবেন সেটা নিয়ে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না তাঁরা। অমর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। দর্শিনী এইচআর প্রফেশনাল। দু’জনেই ভালো বেতনের চাকরি করতেন। তবে দুজনেই ক্রমে হোম সিকনেসে ভুগতে থাকেন।
ক্যারিয়ারের একদম শীর্ষে থাকাকালীন দুজনেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ফিরে আসেন ভারতে। এরপর ভারতে এসে কাপ কেকের দোকান খোলেন দুজনে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এত ব্যবসা থাকতে হঠাৎ এই ব্যবসা কেন? তাহলে এখানে জানিয়ে রাখি, একদিন দর্শিনী একটি কমলা রঙের কেক তৈরি করেন যা কিনা খুব সুস্বাদু ছিল। তখনই অমরের মাথায় এই ধারণা আসে যে তার পেশাদারভাবে বেকিং করা উচিত। প্রথমে ব্যাপারটা নিয়ে নাক সিটকোলেও স্বামীর কথাতে রাজি হন দর্শিনী। অমর এবং দর্শিনী জানান, ‘দোকানের পেছনে আমাদের সমস্ত সেভিংস বিনিয়োগ করা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তা ফলপ্রসূ হয়েছে।’
২০১২ সালে আহমেদাবাদে দুজনে মিলে ‘Buttercup’ খোলেন, ব্যস আর দুজনকে ফিরে তাকাতে হয়নি।