প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাংলায় এবার একের পর এক শিল্প গড়ার পথে নামতে চলেছে বিভিন্ন জনপ্রিয় সংস্থা। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে টাটা কনসালটেন্সি নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে বিরাট ক্যাম্পাস তৈরি করতে চলেছে। আর এই আবহে ফের বাংলার শিল্প বিপ্লবে উঠে এল আরেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা বিনিয়োগ করতে চলেছে বাংলায়।
বাংলায় বিদেশী কোম্পানির বিনিয়োগ!
সূত্রের খবর, হাওড়ার বাগনানে (Factory In Bagnan) নতুন কারখানা গড়তে চলেছে সোটেফিন ভারত নামক সুইৎজারল্যান্ডের একটি অটোমেটেড পার্কিং ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থা। আর এই কারখানার জন্য এই সংস্থা বিনিয়োগ করতে চলেছে ৪০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প সূচনার ঘোষণা করেন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা।
সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক পার্কিং প্রযুক্তি তৈরি হবে এই কারখানায়। আকর্ষণীয় বিষয় হল এই কারখানায় বিপুল কর্মসংস্থানের আয়োজন করা হবে সংস্থার তরফে।
উৎপাদিত দ্রব্য পাঠানো হবে বিদেশে!
এই প্রসঙ্গে সোটেফিন-এর দাবি, বাগনানের এই কারখানায় প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি গাড়ির পার্কিং-এর প্রযুক্তি তৈরির ক্ষমতা রয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে পার্কিং প্রযুক্তির এক বড় চমক দেখা যাবে বাংলায়। অন্যদিকে সংস্থার ভারতীয় শাখার এমডি অরূপ চৌধুরী জানান, বাগনানে তৈরি যন্ত্রাংশ শুধুমাত্র দেশেই বিক্রি হবে, তা নয়। এটি আমেরিকা, দুবাই-সহ বিদেশেও রফতানি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অটোমেটেড পার্কিং প্রজেক্ট বাংলায়!
যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক পার্কিং প্রযুক্তির বাজার কলকাতায় তেমন জনপ্রিয়তা তৈরি করতে পারবে না। কারণ এই প্রযুক্তির চাহিদা কলকাতায় দেশের অন্য শহরের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে সংস্থার বিশ্বাস, শীঘ্রই কলকাতাতেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং চাহিদা দুটোই বাড়বে।
জানা গিয়েছে, কারখানা তৈরি হয়ে গেলে বছরে ১০ হাজার অটোমেটেড কার পার্ক বা ২৫টি অটোমেটেড পার্কিং প্রজেক্ট তৈরি করা হবে। আর এই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে সুইৎজারল্যান্ডের এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: সোনার ঝাড়ু দিয়ে প্রভুর পথ পরিস্কার করবেন মমতা, জানুন দিঘার রথযাত্রা টাইমিং
উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির আশ্বাস
এদিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে আপাতত এই প্রযুক্তির মূল রোবোটটি সুইৎজারল্যান্ডে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এইমুহুর্তে প্রযুক্তি বেশ কিছুটা দামি হলেও পরে কমে যাবে। কারণ তখন এই রোবোট হাওড়ায় তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংস্থার ডিরেক্টর জিগ্নেশ সাংভি জানান, “পশ্চিমবঙ্গে মেধাসম্পদ অতুলনীয়। সেই কারণেই এখানে কারখানা তৈরি। ভবিষ্যতে এখানকার উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |