পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে অথচ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একটা ভালো কাজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই চাকরি ছেড়ে ব্যবসার পথে পা বাড়াচ্ছেন। অবশ্য এখানেও একটা সমস্যা, সেটা হল কিসের ব্যবসা শুরু করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না! চিন্তা নেই আজকে র্প্রতিবেদনে একেবারে ইউনিক একটা ব্যবসার (Unique Business Idea) খোঁজ দিতে চলেছি আপনাদের যেটা থেকেই খুব সহজেই মোটা আয় করা সম্ভব।
ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া | Unique Business Idea
বাজারে অনেক ধরণের ব্যবসাই রয়েছে, তবে এমন একটা কাজ শুরু করতে হবে যেটা কম টাকা পুঁজিতে শুরু করা যাবে আর মোটামুটি ভালো আয় করা যাবে। এক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্র বিক্রি একটা দুর্দান্ত ব্যবসা হতে পারে। ভাবছেন সেটা আবার কি? এই ব্যবসায় একটা দোকান ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরণের পুরোনো সামগ্রী বিক্রি করা হয়। অনেকেই নিজেদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস কম দামে বিক্রি করে দেন। সেগুলি যদি কিনে এনে দোকানে রাখা যায় তাহলে সেটাই অন্য কাউকে ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব। এই ধরণের দোকানকে ‘Thrift Store’ বলা হয়। এই ধরণের দোকান চালু করে মোটা ইনকাম করা যেতে পারে।
কিভাবে শুরু করবেন সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস বিক্রির ব্যবসা?
সময়ের সাথে দৈনন্দিন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই আজকাল সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস দিয়েও কাজ চালানোর চেষ্টা করছেন। তাই আপনি লোকের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তা দামে কিনে নিতে পারেন। এরপর সেগুলোকেই পরিষ্কার করে সাজিয়ে নিজের দোকানে রেখে কিছু লাভ রেখে বিক্রি করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ কেউ হয়তো বাড়ির কিছু ফুলদানি অনলাইনে (ফেসবুক মার্কেট প্লেস) সস্তায় বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। আপনি সেগুলি কিনে নিলেন। এরপর নিজের দোকানে পরিষ্কার করে সাজিয়ে রাখলেন। এরপর কোনো এক ব্যক্তির সেটা পছন্দ হল আর সে টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে গেল মাঝে আপনি ১০০ – ২০০ টাকা আয় করে নিলেন। এটা ছোট থেকে এবার যে কোনো জিনিসের ক্ষেত্রেই হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বদলে গেল পেনশনভোগীদের নাম, জন্মের তথ্য পরিবর্তনের নিয়ম! এল নয়া আপডেট
আপনার যদি বাড়ি রাস্তার ধারে বা প্রচুর লোকজনের যাতায়াত রয়েছে এমন জায়গায় হয় তাহলে বাড়ি থেকেই এই কাজ শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি বড় ঘর থাকতে হবে জিনিসপত্র রাখার জন্য। তবে আলাদা করে সঠিক জায়গায় দোকান নিয়ে নিতে পারলেই সবচয়ে বেশি ভালো হয়। এরপর কলকাতার মত শহরে পাইকারি মার্কেট থেকে পুরোনো জিনিসপত্র বা চাইলে জামাকাপড় ও নিজের দোকানে আনতে পারেন। তবে জামাকাপড়ের জন্য আলাদা দোকান করাটাই বাঞ্চনীয়।
আরও পড়ুনঃ এবার কলকতার খোলা বাজারে মিলবে না মুরগির মাংস? বিরাট সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার
অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসার সুযোগ
আপনি পুরোনো জিনিস সংগ্রহ যে ভাবেই করুন না কেন বিক্রি অফলাইন ও অনলাইন দুভাবেই করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ আপনি একটি পুরোনো দিনের আয়না কোনো এক ব্যক্তির থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে কিনলেন। এরপর সেটিকে পরিষ্কার করে সাজিয়ে ও নতুন করে রং করে ‘Refurbished’ হিসাবে অনলাইনে ফেসবুক মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন। এভাবেই গাড়ি বা বাইকের ছোটোখাটো পার্টস থেকে শুরু করে ঘরের প্রয়োজনের ছোটখাটো জিনিস এমনকি যদি জায়গা থাকে তাহলে পুরোনো আসবাবপত্রও বিক্রি করতে পারেন। অনেকেই বাড়ির পুরোনো চেয়ার, টেবিল, সোফা আপগ্রেড করার জন্য সস্তায় বিক্রি করে দেন। সেগুলিই অল্প দামে কিনে কিছু রিপেয়ারিং করে ভালো টাকা আয় করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ অল্প বিনিয়োগের মোটা আয়, রইল বাড়ি থেকেই শুরু করার মত তিনটি লাভজনক ব্যবসার খুঁটিনাটি
কতটাকা আয় হতে পারে?
যেহেতু পুরোনো জিনিস বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট দাম থাকে না তাই এক্ষেত্রে লাভের অঙ্ক ওঠানামা করতে পারে। কিছু জিনিসের ক্ষেত্রে লেভার পরিমাণ কম থাকলেও কিছু জিনিসে লাভ অনেকটাই বেশি থাকে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি একটি পুরোনো চেয়ার টেবিলের সেট ৩০০০ টাকায় কিনলেন। এরপর সেটিকে পরিষ্কার করে পালিশ করলেন যার জন্য ১০০০ টাকা খরচ হল। তবে বিক্রির সময় আপনি সেটাকেই ৭০০০ – ৮০০০ তাকে বিক্রি করলেন, এক্ষেত্রে প্রায় ১০০% প্রফিট। এভাবেই মাসে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা আয় করা যেতে পারে।