পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাজারে ভালো চাকরি নেই বললেই চলে, আর যাদের চাকরি রয়েছে তাদের অভিযোগ বাড়ছে না বেতন। ফলে আয়ের নতুন রাস্তা খুঁজছেন কমবেশি সকলেই। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে চাকরি করে সংসার চালানোর মত খরচ উঠলেও সঞ্চয় করা বেশ মুশকিল। তাই অনেকেই নতুন কোনো ব্যবসার চেষ্টা করছেন। আপনিও কি এমনটাই ভাবছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন। কারণ আজ একটি কম পুঁজির ব্যবসার (Business) খোঁজ দেব আপনাদের যেটা প্রতিমাসে ভালো টাকা লাভ দিতে সক্ষম।
ব্যবসার আইডিয়া | Business Idea
কথাতেই আছে কোনো কাজ ছোট নয়, এই কথা একেবারে বাস্তব করে দেখিয়েছে ওয়েস্ট মেটেরিয়াল পুনঃব্যবহারের ব্যবসা। ফেলে দেওয়া ও বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করেই মাস গেলে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কিভাবে? আর কত টাকা আয় সম্ভব? চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ওয়েস্ট রিসাইক্লিংয়ের ব্যবসা | Waste Recycling Business
প্রতিবছর শুধুমাত্র ভারতেই ২৭৭ মিলিয়ন টন বর্জ্য তৈরী হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশাল পরিমাণ বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট করাটা বেশ চাপের। তবে আজকাল এই বর্জ্য থেকেই অনেকে ঘর সাজানোর জিনিস বানিয়ে ভালো টাকা আয় করছেন। এতে একদিকে যেমন পরিবেশেরও উপকার হচ্ছে তেমনি মাস গেলে মোটা টাকা আয়ও করা যাচ্ছে। আপনিও বাড়ি থেকেই এমন কাজ শুরু করতেই পারেন।
কিভাবে শুরু করবেন ব্যবসা?
এই কাজ শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনাকে লোকের ফেলে দেওয়া জিনিস সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে সংগ্রহ করলেই ভালো। নাহলে যারা নোংরা কালেকশন করেন তাদের সাহায্যও নিতে পারেন। বর্জ্য থেকেই যে জিনিস কাজে লাগানো যাবে যেমন বোতল, প্লাস্টিকের বালতি, ড্রাম ইত্যাদি নিয়ে আসতে হবে। এরপর সেগুলোকে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপর প্রয়োজন মত সাইজের কাটিং করে বা ডিজাইন অনুযায়ী তৈরী করে নিতে হবে। এরপর তাতে রংবেরঙের কালার করে নিলেই ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরী। ভাবছেন কি কি বানানো সম্বব? সবচেয়ে সহজ হল ফ্লাওয়ার ভাস, পেন হোল্ডার বা ছোট চারাগাছ প্লানটিং বোতল তৈরী করা। যেগুলো একটু ভালো করে কালার করে বিকৃতি জন্য রাখলেই ভালো দামে বিক্রি হয়। এমনকি ফেসবুক মার্কেট প্লেস বা অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি এই ধরণের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। আজকাল অনেক পরিবেশ সচেতন মানুষেরা রিসাইকেল করা দ্রব্য কিনতে ভালোবাসেন।
আরও পড়ুনঃ অল্প পুঁজি লাগিয়ে শুরু করুন ম্যাজিক ফুলের চাষ, ৬ মাসেই আয় হবে ৫-৬ গুণ
কতটাকা আয় হতে পারে?
যেহেতু এক্ষেত্রে বর্জ্য থেকে ঘর সাজানোর মত জিনিসপত্র বানাচ্ছেন তাই এর নির্দিষ্ট করে কোনো লাভের অঙ্ক বলে মুশকিল। তবে পেন হোল্ডার, ফুলের বোতল টব ইত্যাদি কালার করে ১০০-২৫০ টাকায় খুব সহজেই বিক্রি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার পুঁজিও তেমন কিছুই লাগছে না। যেটা লাগছে সেটা হল সময় ও পরিশ্রম। সেক্ষেত্রে ৭০-৮০% প্রফিট হবে বলা যেতেই পারে। শুরুর মাসে বিক্রি ভালো না হলেও সঠিকভাবে প্রচার করলে এই কাজের মাধ্যমেই মাসে লক্ষাধিক টাকাও লাভ করা যেতে পারে।