বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি, যার সম্পত্তি হাসিনার থেকে ৪০ হাজার গুন বেশি

Updated on:

Moosa Bin Shamsher

ঢাকাঃ ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি কে? আপনারও উত্তর নিশ্চয়ই মুকেশ আম্বানিই হবে? রিলায়েন্স কর্তাকে নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা করা হয়। এমন কোনও সেক্টর হয়তো বাকি নেই যেখানে বিনিয়োগ করেননি আম্বানিরা। কিন্তু আজ এই আর্টিকেলে কথা হবে বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তিকে নিয়ে, যার সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন আপনি। শুধু তাই নয়, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেও বেশি।

ইনি হলেন বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তিটি কে? তাহলে জানিয়ে রাখি, তাঁর নাম জল মুসা শমসের। এমনিতে এখন সংবাদ শিরোনামে টিকে রয়েছে বাংলাদেশ। ছাত্র বিক্ষোভ, শেখ হাসিনার পলায়ন, নতুন সরকারের গঠন, আর্থিক ব্যবস্থা, সব নিয়েই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ। তবে এসবের মাঝেও একজন ব্যক্তিকে নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে। আর তিনি হলেন, মুসা বিন শমসের বা প্রিন্স মুসা।

DATCO গ্রুপের ফাউন্ডার প্রিন্স মুসা

বাংলাদেশ দারিদ্র্য, বেকারত্বে ভুগছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কোটিপতি রয়েছেন। এই কোটিপতিরা প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করেন। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের কোটিপতিদের সম্পদ খুব দ্রুত বেড়েছে। তাদের একজনের নাম মুসা বিন শমসের। বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি মুসা বিন শমসের ড্যাটকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। তার কোম্পানি আন্তর্জাতিক অস্ত্র চুক্তি ও পাওয়ার ব্রেকার হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় তিনি শীর্ষে রয়েছেন।

জানলে অবাক হবেন, এই মুসা বিন শমসেরের সম্পদের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৯৯, ৬০০ কোটি টাকা। সম্পদের দিক থেকে তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে ৪০ হাজার গুণ বেশি ধনী। শুধু মুসা বিন শমসেরই নন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধনী শিল্পপতি সালমান এফ রহমানও শেখ হাসিনার চেয়ে বহুগুণ ধনী। এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান।

WhatsApp Community Join Now

ফরিদপুরে জন্ম মুসার

জানা যায়, ১৯৪৫-এর ১৫ অক্টোবর, বাংলাদেশের ফরিদপুরে এক সুপরিচিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা শমসের আলি মোল্লা ব্রিটিশ ভারতের এক পদস্থ কর্তা ছিলেন। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে স্নাতক কোর্স করার পর তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি অর্থনীতিতে PhD ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের শিল্প ব্যবস্থায় মুসার আবেদন ভোলার নয়। যে কারণে তাঁকে ১৯৯৮ সালের সানডে টেলিগ্রাফের একটি নিবন্ধে ‘ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গানস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

সঙ্গে থাকুন ➥
X