এক একর জমি থেকে ১৫ লাখ আয়! ড্রাগন ফলের চাষ করে কোটিপতি অমনদীপ

Published on:

পাঞ্জাবঃ আজকাল ভারতে বিদেশি ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় বিদেশি ফল হল ড্রাগন ফ্রুট। মূলত ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে এই ফল পাওয়া যেত, যার বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোকার্পাস আন্ডাটাস। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছের ফল, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। সেই কারণে আজ বিশ্বব্যাপী এই ফলের চাহিদা তুঙ্গে। সেই সঙ্গে ফলটির দাম বেশি হওয়ার কারণে এর চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। তাই আজকাল ভারতে কৃষকরাও ড্রাগন ফ্রুট চাঁদের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য উষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়ার প্রয়োজন। আর এই আবহাওয়া ভারতের মহারাষ্ট্র, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। এর চাষ পদ্ধতি তুলনামূলক সহজ এবং এর জন্য কম জল প্রয়োজন হয়। তাই পঞ্জাব ও রাজস্থানের মতো পশ্চিমের রাজ্যগুলিতেও এই ফলের চাষ শুরু হয়েছে। ড্রাগন ফ্রুট চাষে উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা ধান, গম বা আখের মতো প্রচলিত ফসলের বদলে এই নতুন ফল চাষের বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছেন। এই নিবন্ধে পঞ্জাবের এক চাষীর কথা বলবো, যিনি ড্রাগন ফ্রুট চাষ করে আজ লাখপতি হয়েছেন।

পথ হারিয়ে ড্রাগন ফ্রুটের সন্ধান পেয়েছেন পঞ্জাবের যুবক

পঞ্জাবের বছর পঁচিশের যুবক অমনদীপ সিং একবার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন। ম্যাপে রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা গিয়ে হাজির হন একটি ক্ষেতে, যেখানে গোলাপি রংয়ের কোনও অজানা ফলের চাষ হচ্ছিল। সেই ক্ষেতে গিয়ে কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন ওই যুবক এবং জানতে পারেন যে সেখানে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ হচ্ছে। এই লাভজনক চাষের সম্পর্কে জানার পর ওই যুবক এই চাষের সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করে দেন পরের দিন থেকেই। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে এই বিদেশি ফলের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করেন অমনদীপ। যেহেতু তার বাড়ির মূল উপার্জন আসত চাষাবাদ থেকে, তাই ড্রাগন ফ্রুটের চাষ শুরু করতে বিশেষ ঝামেলা পোহাতে হয়নি তাঁকে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

প্রথমে ৪ বার ব্যর্থ, পরে চূড়ান্ত সফলতা

২০১৮ সালে অমনদীপ সিং ‘সারাও এক্সিম ফার্ম’ নামে তাঁর এগ্রি-স্টার্টআপ শুরু করেন। শুরুতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গাছ লাগান এবং তাদের পরিচর্যা শুরু করেন। কিন্তু প্রথম বছর তার উদ্যোগ বিফলে যায়। এইভাবে পরপর চার বছর ব্যর্থতার ধাক্কা খান অমনদীপ। তবে পঞ্চম বছরে প্রথমবারের জন্য ফলন আসে। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আজ অমনদীপের ফার্মে ১২ জন কাজ করছেন। কোম্পানি মাসে লাখ লাখ টাকা মুনাফা করছে। আর এই চাষের থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো অনেক লাভজনক বিদেশি ফলের চাষ করতে চান অমনদীপ।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group