সারা বিশ্বে রাজত্ব করতে এবার জোট বেঁধেছে ভারত, চিন ও রাশিয়া। যে কারণে ভয়ে কাঁপছে আমেরিকা সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ।
কিন্তু, যে চিন বার বার ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে পেছনে মেরেছে ছুরি, আজ সেই চিনের সাথেই কেন ফের হাত মেলালেন মোদী (India China Relationship)?
যে চিন, নেহেরু থেকে মোদী – সবার সাথেই করেছে বিশ্বাসঘাতকতা, অপারেশন সিঁদুরে নিয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষ, আজ সেই চিন-ভারতের সামিটে কেন আনন্দে আত্মহারা ভারতীয় মিডিয়া?
কয়েক বছর আগেই যে ভারতীয় জনতা দিয়েছিল চিনা পণ্য বয়কটের ডাক, আজ তারাই চিন-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কেন এত উৎফুল্ল?
কী লাভ হবে ভারতের? আদেও কি ঠিক করছে ভারত? নাকি একই ভুল? সত্যি কি বন্ধুত্ব করতে চাইছে চিন, নাকি রয়েছে কোনও সুপ্ত পরিকল্পনা? আজ এক এক করে সমস্ত তথ্য ডিকোড করবে India Hood।
ট্যারিফ যুদ্ধে আমেরিকাকে মাত দিতে, ভারতের সাথে হাত মেলায় চিন। সেই উদ্দেশ্যে ২০২৫ সালের ৩১শে আগস্ট SCO সামিটে যোগ দেয় ভারত। যা অনুষ্ঠিত হয় চিনের তিয়ানজিনে। যেখানে স্বচ্ছ বাণিজ্যনীতি, মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড, ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, এনার্জি কো-অপারেশন প্ল্যাটফর্ম সহ একাধিক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাশাপাশি পুনরায় শুরু করা হয় এতদিন ধরে বন্ধ থাকা ভারত থেকে চিনের সরাসরি বিমান পরিষেবা।
এরপর সারা দেশজুড়ে দেখা যায় খুশির আবহ। দুই দেশের মেলবন্ধনের খুশিতে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু, তার সাথেই উঠে আসতে থাকে একাধিক উদ্বেগ ও চিন্তা।
ভারতের টার্নিং পয়েন্ট!
প্রথমত, বর্তমানে ভারত ও চিন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে রয়েছে। আজ একদিকে বানিজ্যকে হাতিয়ার করে ভারতের মেরুদণ্ড ভাঙতে চাইছে আমেরিকা। সেখানে অন্যদিকে চিনের সাথে বাণিজ্যের ফলে কিছুটা হলেও আমরা সেই মেরুদণ্ড বাঁচাতে পারি। কারণ বর্তমানে ভারত আর চীন ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করে, আর ভারত ও আমেরিকা ১৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। তাই, ভবিষ্যতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়লে, অনেকটাই রেহাই পাবে ভারত।
দ্বিতীয়ত, মাথায় রাখতে হবে ভারত একটি সার্ভিস পাওয়ার হাউস, অর্থাৎ আমরা আইটি সহ অন্যান্য বিভিন্ন পরিষেবামূলক কাজে অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে, সেখানে চিন একটি উৎপাদনশীল দেশ। অর্থাৎ, এই দুইয়ের মেলবন্ধনে সারা বিশ্বের বাজারে রাজ করতে পারবে ভারত ও চিন।
আর এছাড়াও, গত কয়েক বছরে চিন ছোটখাটো পণ্য উৎপাদন থেকে নিজেদের বড়সড় পণ্য উৎপাদনকারী দেশে পরিণত করেছে, ফলে ভারত হয়ে উঠেছে ছোটখাটো এই সমস্ত পণ্য উৎপাদনের বিকল্প দেশ।
তৃতীয়ত, BRICS, G20, SCO-র মতো প্রতিষ্ঠানে একত্রে সহমর্মিতা বজায় রাখার ফলে অর্থনৈতিক বাজারের পাশাপাশি, পাওয়া যাবে কূটনৈতিক সহায়তাও।
চতুর্থত, দুই দেশের সামরিক বাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী। ভারতের সামরিক বাজেট ৭৯ বিলিয়ন ডলার। চিনের প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার। তবে দুই দেশের সামরিক এবং বর্ডার সীমানা সম্পর্ক উন্নত হলে এই অর্থ দেশের কাজে লাগতে পারে। কারণ, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দুই দেশই একসাথে বিভিন্ন সামরিক অনুশীলন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভাগ করে নিত।
পঞ্চমত, চিন থেকে ভারতে রেয়ার আর্থের রফতানি বাড়ানো হলে বাড়বে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, কমতে পারে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম। পাশাপাশি কম দামে কৃষিজাত সার দেওয়া হবে ভারতকে, যার ফলে কমতে পারে কৃষিজাত পণ্যের দাম।
কিন্তু, চিনের ওপর ভরসা করাটা কেন এক প্রকার বোকামো? তার পিছনে রয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে ঘটা এমন কিছু ঘটনা, যা ভাবতে বাধ্য করবে আপনাদেরও।
স্বাধীনতার পর, ১৯৫৪ সালে, শান্তি ও সৌহার্দ্যের জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহুরু শ্লোগান তুলেছিলেন “হিন্দি চিনি ভাই ভাই”।
কিন্তু, সেই চিনিরাই ভারতের সাথে তিক্ততা শুরু করল ১৯৫৯ সালে। যখন তিব্বত থেকে পালিয়ে আসা দলাই লামাকে আশ্রয় দেয় ভারত। যা নিয়ে চিনের মধ্যে বাড়তে থাকে ক্ষোভ। পাশাপাশি চিনের তিব্বত দখল নিয়ে কেউ কোনওরকম মুখ না খুললেও সীমান্ত সমস্যা তীব্র হয় দুই দেশের মধ্যেই। অন্যদিকে, ভারতের উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখ অঞ্চলের সীমারেখা মানতে অস্বীকার করে চীন।
যারপর ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করেই ভারতের ওপর আক্রমণ হানে চিন। অপ্রস্তুত ভারতীয় সেনাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র-সরঞ্জাম না থাকায় পিছু হঠতে বাধ্য হয় তারা। ফলত, অরুণাচলের একটা বড় অংশ দখল করে নেয় চিন। যেটি আকসাই নামে পরিচিত। নভেম্বর মাসে চিনা সৈন্য পিছু হটলেও, লাদাখের আকসাই নামক জায়গাটি সেই থেকে আজও নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। সেই প্রথম তিক্ততার শুরু, যা আজও মিষ্টি হয়েছে কিনা সেই দাবি করা মুশকিল।
এরপর সালটা ১৯৬৭। ক্ষমতায় ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তবে, চিন ও ভারত সীমান্তে উত্তেজনা যে বন্ধ ছিল তা কিন্তু নয়। ওই সময়ে সিকিমের নাথু-লা এবং চো-লা ছিল ভারতের দুই গুরুত্বপূর্ণ পাস। আর সেখানে বেশ কিছুদিন ধরেই উস্কানি দিচ্ছিল চিন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে গেলে ভারতকে বাঁধা দেয় চিন। হঠাৎ শুরু হয় গুলির লড়াই। তবে, ১৯৬২-র পুনরাবৃত্তি হতে দেয়নি ভারতীয় সেনা। তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে, বাধ্য করে চিনকে পিছু হটতে। এই লড়াইয়ে ভারতের প্রায় ৮০ জন সৈন্য শহীদ হয়, অন্যদিকে চিনে হতাহতের সংখ্যা ছিল ৪০০। স্পষ্ট জয় পায় ভারত, মনোবল বাড়ে ভারতীয় সেনাদের।
এর পরবর্তী কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো হতে থাকে, কমে যায় সীমান্তের উত্তেজনা। মাঝে ভারতের নিউক্লিয়ার পরীক্ষা কিছুটা কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করলেও বড়সড় কোনও দ্বন্দ্ব দেখা যায়নি দুই দেশের মধ্যে।
এরপর ২০১৭ সালের ১৬ই জুন। ফের যেন ১৯৬২ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ভারত ও চিনের মধ্যে। ঘটনাস্থল ভুটানের ডোকলাম। তিব্বতের মতোই এই জায়গা দীর্ঘদিন ধরেই অধিকার করার পরিকল্পনা করে আসছে চিন। এই জায়গা নিয়ে চীন ও ভুটানের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি কিছুই। এরপর হঠাৎ করেই ভুটানের ডোকলাম প্রদেশে একটি বেআইনি রাস্তা নির্মাণ শুরু করে চিন। যা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ভারত সৈন্য পাঠায়। এতদিন ভুটানের ওই জায়গা চিনের থেকে রক্ষা করার জন্য ভারতই সহায়তা করে এসেছে, কারণ ডোকলাম, শিলিগুড়ি অঞ্চলের খুব কাছেই। আর এই করিডোর নর্থ ইন্ডিয়ার সাথে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো ৭টি রাজ্যকে জোড়ে।
ভারত, চিনা সেনাবাহীনিকে আটকালে দুই দেশ ৭০ দিনের মিলিটারি স্ট্যান্ডআউট করে। কিন্তু আগস্ট মাসে দুই দেশই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে এবং যুদ্ধ বন্ধ করে। এরপর ওই বছরেই সম্পর্ক ঠিক করার উদ্দেশ্যে চিন যাত্রা করে মোদী। ২০১৮ সালে মোদী আরও একবার চীন যাত্রা করে। এরপর ২০১৯ সালে শি জিনপিং ভারত সফরে আসে।
পর পর ৩ বার সাক্ষাৎের পরেই ২০২০ সালে ফের নিজেদের আসল রঙ দেখাল চিন। লাদাখে প্রায় ১০০০ বর্গ কিমি জায়গায় হঠাত করেই প্রবেশ করে চিনা সৈন্যরা। এরপর দুই দেশই সীমান্তে নিজেদের সেনাবল বাড়ায়। যার পর ১৫ই ও ১৬ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় শুরু হয় বিক্ষিপ্ত লড়াই। এই যুদ্ধে মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার, মৃত্যু হয় বেশ কিছু চিনা সেনারও।
এরপর একাধিক পদক্ষেপ নেয় দুই দেশের সরকার। চিন ভারতের সাথে সার, ওষুধের কাঁচামাল, রেয়ার আর্থের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে ভারতও চিনের ৫০টিরও বেশি অ্যাপ ব্যান করে দেয়, ভারত ও চিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা, বন্ধ করে দেওয়া হয় চিনা বিনিয়োগও।
এরপর, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বালিতে G20 সামিটে মোদী ও শি জিনপিংকে হাত মেলাতে দেখা যায়। ২০২৩ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকায় BRICS সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে কথোপকথন হয়। ২০২৪ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া BRICS সম্মেলনে চীন ও ভারতের মধ্য সম্পূর্ণ আর্মি ডিসএঙ্গেজমেন্ট হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে সবকিছু মিটমাট হয়ে এক বছরও হয়নি, ২০২৫ সালে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের লাইভ ডেটা পাকিস্তান ও তুর্কির সাথে শেয়ার করার মতো ঘৃণ্য কাজ করে চিন।
এখানেই শেষ নয়, এরপর একাধিকবার নিজেদের ইচ্ছে মতো ভারতে আসা রেয়ার আর্থ আঁটকে দেওয়া, আইফোনের নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে নেওয়া, চিনের তৈরি টানেল বোরিং মেশিন ভারতে আসতে বাঁধা দেওয়া, কখনও আমাদের কৃষি ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে সার আঁটকে দেওয়া, আবার কখনও কখনও অনলাইনে অ্যাটাক করা লেগেই ছিল।
এরপর প্রশ্ন একাধিক,
১। যেখানে ২০২০ সালের পর ভারতের সাথে চিনের ব্যবসায়িক পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠেকার কথা, সেখানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কেন?
২। পাশপাশি ভারত আর চীন ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করে, যার মধ্যে ১২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এখানে আসে, আর ১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ওখানে যায়। অবাক হবেন না ঠিক শুনেছেন। আমরা আজকের দিনে ৮৪ কোটি টাকার নেল কাটার, ৬৭ কোটি টাকার ব্রাশ, ৪৬৮ কোটি টাকার প্লাস্টিক কিচেনওয়্যার চিনের থেকে কিনে থাকি। গুরুতর প্রশ্ন আমরা কি এগুলি নিজেদের দেশে বানাতে পারি না? যেখানে আমেরিকার সাথে ১৩২ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায় আমেরিকা আমাদের থেকে কেনে ৮৬.৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, আর আমরা কিনি ৪৫.৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। সেখানে আমরা আমেরিকার থেকেও কেন বেশি চিন নির্ভর? ফার্মা হোক কিংবা সোলার প্যানেল আমরা এখনও চিনের ওপরেই নির্ভরশীল। তাই চীন যখন ইচ্ছা আমাদের এই নির্ভরতার সুযোগ নেবে না তো?
৩। ট্যারিফ যুদ্ধে চিনের ওপর সবথেকে বেশি, অর্থাৎ ১৪৫ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছিল আমেরিকা। অন্যদিকে, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছে ভারত। কিন্তু আপনি কি জানেন, চিনের ওপর বর্তমান মার্কিন ট্যারিফ মাত্র ৩০ শতাংশ, কিন্তু ভারতের ওপর ট্যারিফ এখনও ৫০ শতাংশই আছে। উল্টে চিন ভারতের তুলনায় রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে তেল কেনে। অর্থাৎ, কথায় কথায় চিন-আমেরিকা নতুন কোনও ফন্দি আঁটছে না তো?
৪। ইতিহাস বলছে চিন যে দেশের সাথে বাণিজ্য করে সেই দেশের বাজার তারাই কন্ট্রোল করে, সাথে তারা সেই দেশে ছড়ায় নিজেদের ইচ্ছামতো এজেণ্ডা। যার ফলে ভাঙতে পারে ভারতের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন।
৫। ভারতের সাথে সম্পর্ক করে তাইওয়ান দখলে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না তো চিন? কারণ চিনের তাইওয়ান আক্রমণের স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না আমেরিকা, ইউকে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ফিলিপাইন্সের কারণে। পাশাপাশি আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ থেকে এয়ারক্র্যাফট সবই রয়েছে চিন সাগরে। যা চিনের কাছে একটি হুমকি। গালভান উপত্যকায় হামলার পর ভারতও কোয়াড জোটের মাধ্যমে চিনের তাইওয়ান দখলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে, ভারত যদি এখন নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে, এক্ষেত্রে অনেকটাই লাভজনক হবে চিন।
তবে, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে জিওপলিটিকস ক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু হয় না, স্থায়ী হয় স্বার্থ। ২০১৪ সালের পর মোদী ও শি জিনপিং ২১ বার সাক্ষাৎ করেছে। কিন্তু, আজ, ২০২৫-এ এসে প্রশ্নটা আগের মতোই প্রাসঙ্গিক: চীন কি কখনও ভারতের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে? নাকি সীমান্ত, সার্বভৌমত্ব আর আঞ্চলিক আধিপত্যের দ্বন্দ্ব এই সম্পর্ককে সারাজীবন “প্রতিদ্বন্দ্বিতার সহযোগিতা”-য় বেঁধে রাখবে? নাকি সবটাই আসলে চিনের চাল? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না আপনাদের মতামত।