India Hood Decode: মোদীজিকে হত্যার ষড়যন্ত্র, আমেরিকার প্ল্যান বানচাল করলেন পুতিন

Published:

Narendra Modi
Follow

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মতোই হত্যার চেষ্টা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi)। চিনের মাটিতেই মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র আমেরিকার! বাংলাদেশে বসেই ব্লু প্রিন্ট CIA এজেন্টের। আর সেই প্ল্যান বানচাল করেই মোদীকে বাঁচিয়ে দিলেন পুতিন। সত্যি বলতে পুতিনের মতো বন্ধু না থাকলে আজ হয়তো আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফিরেই পেতাম না।

ঠিক কী হয়েছিল SCO সামিটে? কীভাবে রক্ষা পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? কীভাবে প্রিয় বন্ধুকে বাঁচালেন পুতিন? আজ India Hood ডিকোডে তুলে ধরবো এমন কিছু তথ্য, যা মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনাদের।

দিনটা ৩রা সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনের SCO সফর থেকে এসে যোগ দেন Semicon India 2025 অনুষ্ঠানে। আর সেখানেই বক্তৃতা রাখার সময় তিনি বলেন – “আমি এসেছি এই জন্য খুশি হচ্ছেন, নাকি আমি গিয়েছিলাম এই জন্য খুশি হচ্ছেন?”। এই বক্তৃতা শুনে সবার মধ্যে হাসির রোল উঠলেও, এর পিছনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। আর ঠিক এক মাস পর ফাঁস হল সেই ইঙ্গিতের আসল রহস্য। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু রিপোর্ট।

এর ঠিক ২ দিন আগে ৩১শে আগস্ট। SCO সামিট থেকে বেরিয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোদী ও পুতিনের। আর, সেই বৈঠকের আগে হোটেলে যাওয়ার প্ল্যান ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু, হঠাৎ করেই মোদীর প্ল্যানে বদল ঘটালেন পুতিন। নিজের অত্যন্ত সুরক্ষিত লিমোজিন নিয়ে মোদীর জন্য সামিটের বাইরেই অপেক্ষা করলেন প্রায় ১০ মিনিট। এরপর মোদীকে নিজের গাড়িতে তুলে যাত্রা শুরু করলেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্দেশ্যে। বাতিল হল মোদীর হোটেলে যাওয়া। আর এই হোটেলেই মোদীকে মারার প্ল্যান কষেছিল আমেরিকার এক CIA এজেন্ট। যিনি সবকিছু কন্ট্রোল করছিলেন বাংলাদেশ থেকে।

একদিকে যখন গাড়িতে বসে কথা বলছেন মোদী ও পুতিন, তখন অন্যদিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গোপন অপারেশন শুরু করে ভারত ও রুশ গোয়েন্দারা। আর বানচাল করে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হত্যার ছক। খতম করে দেওয়া হয় বাংলাদেশ থেকে কন্ট্রোল করা ওই CIA এজেন্টকে। ওই দিনই ঢাকা শহরের ওয়েস্টইন হোটেলের রুম নং ৮০৮ থেকে উদ্ধার হয় সেই অফিসারের দেহ। যিনি ছিলেন আমেরিকার স্পেশাল ফোর্সের ৫০ বছর বয়সী টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন।

আর এই এজেন্ট কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সাধারণ অফিসার ছিলেন না, তিনি ছিলেন ফার্স্ট এয়ারবর্নের স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ডের কমান্ড ইনস্পেক্টর। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি। জ্যাকসন প্রায় ৬ মাস ধরে বাংলাদেশী সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন ও সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ড নিয়ে ইউনুস সরকারের সাথে কথা বলার জন্যই ওখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানতো তার আসল প্ল্যান ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার। যদিও এই অফিসারের মৃত্যু নিয়ে প্রথমে খুব বেশি সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু সত্যিকে তো একদিন বাইরে আসতেই হয়!

কিন্তু, সত্যিই কি আমেরিকা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মারার ছক কষেছিল? ডিপ স্টেটের মাধ্যমে দখল করতে চাইছিল ভারতকে?

এবার আমরা তুলে ধরবো এর স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ।

প্রথমত, বাংলাদেশে মৃত ওই অফিসারের মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে আসে পোলোনিয়াম। এটি একধরনের রেডিওঅ্যাক্টিভ রাসায়নিক, যা সাধারণত গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ানরা ব্যবহার করছে নিজেদের ঘরের এবং বাইরের শত্রুদের মারার জন্য। তাই এটিই একদিক থেকে প্রমাণ করে এই এজেন্টের মৃত্যুর সাথে রুশ যোগের।

দ্বিতীয়ত, আমেরিকার কোনও সাধারণ ঘটনা ঘটলে, বলা ভালো পান থেকে চুন খসলেই যেখানে সারা বিশ্ব মাথায় করে নেয় ট্রাম্প, সেখানে একজন এত বড় অফিসারের মৃত্যুর ঘটনা পুরো চেপে গেল তারা। না কোনও বড় কভারেজ, না কোনও মিডিয়া বাইট। হল না কোনও অটোপ্সি কিংবা পোস্ট মর্টেম। ঘেঁষতে দেওয়া হল না বাংলাদেশের পুলিশকেও। মার্কিন দূতাবাস থেকে নিরাপত্তা আধিকারিক এবং চিকিৎসকরা এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে এবং আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়। সঙ্গে নেওয়া হয় তার ব্যবহৃত কয়েকটি বড় স্যুটকেস এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রীও। কেন হঠাৎ এই খবর চেপে দেওয়া হল?

তৃতীয়ত, জ্যাকসনের মৃত্যুর পর তাঁর লিঙ্কডইন পেজে লেখা ছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ২০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধকালীন মোতায়েন ও দায়িত্বে ছিলেন। অদ্ভুতভাবে, সম্প্রতি জ্যাকসনের লিঙ্কডইন পেজের সেই সব অংশ মুছে ফেলা হয়েছে। কেন করা হল এমন?

চতুর্থত, বিদেশ সফর করার জন্য যে মোদীকে করা হয় এত ট্রোল, তিনি সম্প্রতি বাতিল করেছেন একের পর এক সফর এবং সম্মেলন। যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান সামিট থেকে শুরু করে UNGA-র উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও গাজার শান্তি সম্মেলনও। এখানের বেশ কিছু সম্মেলনে ট্রাম্পের আসার কথা থাকলেও, যেতে অস্বীকার করেছেন মোদী। অন্যদিকে, পুতিনও যোগ দিচ্ছেন না G20 সামিটে। তাহলে কি এখনও রয়েছে প্রাণ সংশয়ের হুমকি?

পঞ্চমত, মোদীকে মারার এই সমস্ত তথ্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসছে, কারণ একই রকমভাবে চলতি বছরে বেশ কয়েকবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং চিনের রাষ্ট্রপতি জিনপিংকে।

ষষ্ঠত, প্রশ্ন উঠেছে আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসকে নিয়ে। যিনি বর্তমানে টেক্সাসের একটি শক্তি সংস্থার কৌশলগত উপদেষ্টা। আর চলতি বছরে যখন টেরেন্স বাংলাদেশে ছিল, তখন প্রায় ছয়বার বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন হ্যাস। তিনিও ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, আর তার কর্মকাণ্ড নিয়েও এখন উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য হ্যাসকে কিছু অংশে দায়ী করা হয়।

সপ্তমত, ভাবুন তো কোনও একদিন পড়লেন অজিত ডোভাল ব্যবসায়িক কাজে পাকিস্তানে বসে আছে প্রায় কয়েক মাস ধরে! এটা কি বিশ্বাস করা সম্ভব? তেমনই ভাবুন, আমেরিকার একজন এত বড় মাপের অফিসার। যার আর দুই বছর বাকি আছে সার্ভিসের। সে বাংলাদেশে আছে কয়েক মাস ব্যবসায়িক কাজে, এটা কি মানা সম্ভব?

কিন্তু, এবার আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো কারা এমন করছে? কী কারণ রয়েছে এর পিছনে?

এই সম্পূর্ণ ঘটনার মূল কারণ আমেরিকার ট্যারিফে ভারতের মাথা নত না করা। উল্টে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা, BRICS-এর সাথে আমেরিকা বিরুদ্ধ বিভিন্ন অবস্থান নেওয়া, এবং চিন, জাপান, SCO-র সাথে হাত মিলিয়ে বাণিজ্য বাড়ানো। যা সারা বিশ্বের কাছে আমেরিকার জন্য ছিল ঘোর অপমানজনক। আর মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই ষড়যন্ত্র করছে ডিপ স্টেট। ডিপ স্টেট প্রয়োগ করে আমাদের দেশে একাধিকবার শাসনব্যবস্থা ঘেঁটে দেওয়ার চেষ্টা আগেই করেছে আমেরিকা। কিন্তু, কোনও ফল না পাওয়ায়, কিংবা মোদীর নেতৃত্বে এক প্রকার ভয় পেয়ে এবার তাঁকে সরানোর ফন্দি শুরু করেছে ডিপ স্টেট।

তবে, ১লা সেপ্টেম্বর, মার্কিন সেনার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঢাকার হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া মার্কিন নাগরিক এবং ওই সেনা অফিসার এক ব্যক্তি নন। এমনকি মার্কিন আর্মি স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যালি স্কট জানিয়েছেন যে, ঢাকায় কোনো অভিযান চলছে না এবং ইউএস আর্মির স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ডে নিযুক্ত সকল কর্মী সুস্থ রয়েছেন।”

এমনকি, এই মৃত্যুর তারিখ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ধোঁয়াশা, কারণ কিছু জায়গায় বলা হয়েছে জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছে ২৯শে আগস্ট, আবার কেউ বলছে ২৭শে আগস্ট, আবার কেউ বলছে ৩১শে আগস্ট।

অর্থাৎ, এতক্ষণ যা দেখলেন, যা শুনলেন তা পুরোটাই বিভিন্ন তথ্যের বিশ্লেষণ এবং আনুমানিক কারণ। এই মর্মে এখনও পর্যন্ত নেই কোনও কংক্রিট প্রমাণ। তবে, অস্বাভাবিক কূটনৈতিক আচরণ, মোদীর মন্তব্য, জ্যাকসন ও হাসের কর্মকাণ্ড, পুতিনের অপেক্ষা ও মোদীর সাথে দীর্ঘ যাত্রাও উপেক্ষা করার মতো নয়। তাই আপনাদের কী মনে হয় জানাতে ভুলবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join