এক ধাক্কায় বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ ৫৬ লক্ষ ভোটার! নির্বাচন কমিশনের এক সিদ্ধান্তেই মাথায় হাত কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বহু রাজনৈতিক দলের। সারা দেশ জুড়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধিতা। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কারণ একটাই – SIR, অর্থাৎ ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অনেকেই আবার NRC-র আরেক রূপ বলে দাবী করছে এই SIR-কে!
কিন্তু কী এই SIR, যার জন্য আজ এক ছাতার তলায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী দল? কেনই বা বিরোধিতা করছে তারা? বিহারের পর কি এবার টার্গেট বাংলা? আজ জেনে নিন সমস্ত তথ্য এক সাথে।
কী এই SIR?
জাতীয় নির্বাচন কমিশন, ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য দুটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে, এক, নিবিড় সমীক্ষা অর্থাৎ Intensive Revision এবং দুই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা অর্থাৎ Sumamry Revision।
এক্ষেত্রে নিবিড় সমীক্ষা হল ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা কিংবা সম্পূর্ণ যাচাই করার একটি প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ভোটার যাচাই করে করা হয়।
অন্যদিকে, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষা হল আগের যাচাই করা পদ্ধতিটি পুনরায় যাচাই করার একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এটি প্রতি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নয়, বিদ্যমান ভোটার তালিকার উপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হয়।
কিন্তু ২০১৯ সালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার নেতৃত্বে এক নতুন সমীক্ষা চালু করে নির্বাচন কমিশন। কিছুটা নিবিড় সমীক্ষার আদলেই রাজ্যের ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে রাজ্যের জনগণকে যথাযথ ভোটাধিকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা যাচাই করার সমীক্ষা চালু করে। আর এটিকেই নাম দেওয়া হয় ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ বা ‘Special Intensive Revision’ অর্থাৎ SIR।
SIR সর্বপ্রথম প্রয়োগ করা হয় ২০১৯ সালে অসমে। প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর ২০২৫ সালের জুন মাসে বিহারে এই সমীক্ষা চালু করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও চালু করা হবে এই SIR।
SIR-এর কাজ কী?
SIR এর মূল উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকাকে সম্পূর্ণরূপে নির্ভুল করে তোলা। এই জন্য নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে।
১। বিশদ পর্যালোচনার মাধ্যমে ভোটার তালিকার ত্রুটি সংশোধন করা,
২। ভুল নাম মুছে ফেলা,
৩। নতুন ও উপযুক্ত ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা,
৪। পুরানো মৃত ভোটারদের নাম কাটানো,
৫। ভিনদেশে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
কী বলা হয়েছে নয়া SIR নির্দেশিকায়?
২০০৩ সালে বিহারে একবার নিবিড় সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। আর সেই সময়ে রাজ্যের ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৬ লক্ষ। এখন বিহারে ভোটার সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। অর্থাৎ, ২২ বছরে প্রায় ৩ কোটি ভোটার সংখ্যা বেড়েছে।
সেই নিয়মের কথা মাথায় রেখে এবার নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের কোন সমস্যা নেই। অর্থাৎ, ওই ৪ কোটি ৯৬ লক্ষ মানুষকে কোন প্রমাণ দিতে হবে না। কিন্তু বাকি প্রায় ৩ কোটি ভোটারকে এই প্রমাণ দিতে হবে। তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে –
১। ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন এমন ব্যাক্তিদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের সপক্ষে তালিকায় উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোন একটি জমা দিতে হবে।
২। ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২রা ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ একটি নথি এবং তাঁদের বাবা কিংবা মায়ের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ রয়েছে এমন একটি নথি জমা দিতে হবে।
৩। যে সব ভোটার ২রা ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের প্রমাণ হিসাবে যে কোনও একটি নথি এবং বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যদি কারও বাবা কিংবা মা ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পাসপোর্ট ও সন্তান জন্মের সময়কার ভিসার কপি জমা দিতে হবে।
এদের মধ্যে কেউ গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও, তাঁদের ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে হবে।
কী কী ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে?
এখানেই আপনারা বুঝতে পারবেন ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’এবং ‘নিবিড় সমীক্ষা’র মধ্যে কোথায় পার্থক্য রয়েছে।
আপনাদের প্রথমেই জানিয়ে দিই, ‘নিবিড় সমীক্ষা’র ক্ষেত্রে কমিশনের তরফ থেকে কী কী ডকুমেন্টস চাওয়া হত। মূলত তিন ধরনের ডকুমেন্ট চাওয়া হত, যার মধ্যে রয়েছে নাগরিকত্ব ও পরিচয় প্রমাণের ডকুমেন্ট, ঠিকানা প্রমাণ, এবং বয়সের প্রমাণ।
নাগরিকত্ব ও পরিচয় প্রমাণের ডকুমেন্টের মধ্যে ছিল – প্যান কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (NPR)-এর রেজিস্ট্রেশন স্লিপ, সরকারি বা আধা-সরকারি কর্মচারীদের অফিস আইডি।
ঠিকানা প্রমাণ ডকুমেন্টগুলির মধ্যে ছিল – বিদ্যুৎ বিল/জলের বিল (গত ৩ মাসের), রেশন কার্ড, ব্যাংক/পোস্ট অফিস পাসবুক, সরকার অনুমোদিত বাড়িভাড়া চুক্তিপত্র, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, গ্যাস কানেকশনের বই।
এছাড়া বয়সের প্রমাণ হিসাবে কমিশন চেয়েছিল, জন্ম শংসাপত্র, দশম শ্রেণির মার্কশিট, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, সরকার অনুমোদিত স্কুল ID বা কলেজ ID যেখানে জন্মতারিখ উল্লেখ আছে।
তবে, SIR-এর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ১১টি ডকুমেন্টের তালিকা জারি করেছে। সেগুলি হল –
১। Birth Certificate অর্থাৎ জন্মতারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণকারী শংসাপত্র,
২। পাসপোর্ট,
৩। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা আরও উচ্চ কোন ডিগ্রির শংসাপত্র,
৪। জাতি শংসাপত্র অর্থাৎ SC/ST/OBC সার্টিফিকেট
৫। Permanent Residential Certificate অর্থাৎ স্থায়ী বাসস্থান সার্টিফিকেট
৬। বাড়ি বা জমির দলিল
৭। সরকারি কর্মচারী/পেনশনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সরকারি অফিস আইডি এবং পেনশন প্রদানের অর্ডার,
৮। ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন অর্থাৎ NRC নথি (যেখানে প্রযোজ্য)
৯। সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুত করা ফ্যামিলি রেজিস্টার
১০। বন অধিকার সার্টিফিকেট
১১। ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা যে কোন পরিচয়পত্র, অথবা ব্যাঙ্কের বই, পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট, LIC-র পলিসি সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট গ্রহণযোগ্য।
বিরোধীদের একাধিক বিরোধিতার পর নির্বাচন কমিশন থেকে ৩০শে জুন একটি নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও ভোটারের নাম যদি ২০০৩ সালের বিহারের ভোটার তালিকায় না-ও থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি নিজের বাবা কিংবা মায়ের অন্য কোনও ডকুমেন্টের পরিবর্তে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকাটি ব্যবহার করতে পারবেন।
বিহারের SIR রিপোর্ট থেকে কি উঠে আসছে?
২০২৫ সালের ২৪শে জুন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সমগ্র বিহার রাজ্যে SIR-এর ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২৩শে জুলাই, কমিশনের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, যেখানে জানা গিয়েছে –
১। ভোটার লিস্ট করার সময় রাজ্যের ২০ লক্ষ ভোটারকে মৃত হিসাবে দেখা গিয়েছে।
২। ২৮ লক্ষ এমন ভোটার আছে যারা অন্য বিধানসভায় চলে গিয়েছে।
৩। ৮ লক্ষ ভোটার এমন, যারা দুই জায়গায় ভোটার কার্ড করে রেখেছে।
বিরোধিতাঃ
SIR-এর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত প্রায় হাফ ডজন মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যার মধ্যে রয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস, পিইউসিএল, আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা, সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সহ আরও অনেকে।
SIR-এর বিরোধীদের দাবী, হিন্দির বদলে শুধু ইংরেজিতে ফর্ম বিলি করা হচ্ছে কেন? তারা মনে করছেন, অনেকের জন্ম প্রমাণ থেকে শুরু করে মা-বাবার অনেক পুরানো ডকুমেন্ট নাও পাওয়া যেতে পারে, ফলে এই প্রক্রিয়ায় অনেক ভোটদাতা নিজের ভোটদানের অধিকার হারাবেন। অনেকেই আবার SIR-কে ঘুর পথে NRC এবং CAA-র প্রয়োগ হিসাবে দেখছে।
এরপর ১০ই জুলাই বৃহস্পতিবার, সমস্ত মামলা একত্র করে শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে।
মামলাকারীদের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় কমিশনের কাজ নিয়ে। জিজ্ঞাসা করা হয় ভোটাধিকার থেকে কোনও এক জন ব্যক্তিকেও কি বঞ্চিত করা যায়? এছড়া, মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ১৯৫০ সালের আইন এবং ভোটার অন্তর্ভুক্ত আইনের অধীনে ভোটার তালিকায় দুই ধরনের সংশোধনের কথা বলা রয়েছে। কিন্তু, SIR একটি নতুন বিষয় যা কোন নিয়মে কোথাও উল্লেখ করা নেই। এটি ভারতের ইতিহাসে প্রথম বার করা হচ্ছে। বিহারের ৭ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষকে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে।“
এর উত্তরে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান, “জনপ্রতিনিধি আইনের ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কমিশন মনে করলে বিশেষ রিভিশন করতে পারে।”
এরপর কমিশনের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, কাউকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে না। আইন মেনেই যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। কারচুপির অভিযোগ এড়াতে এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এরপর ১৭ই জুলাইয়ের শুনানিতে, শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে SIR ২০২৫-এর উদ্দেশ্যে আধার, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর উত্তরে ২৮শে জুলাই, কমিশনের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সেগুলি বিবেচনা করা যাবে না। আধার আদতে একটি পরিচয়পত্র মাত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। সুতরাং, SIR-এর উদ্দেশ্যে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি চূড়ান্ত পরিচয়পত্র হতে পারে না।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “নাগরিকত্ব যাচাই করা নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না, সে দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।“
কিন্তু কমিশন যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে, “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার আগে নাগরিকত্ব যাচাই করতে পারে তারা।“
সব শেষে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জানান, “আমরা বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিষয়টি দেখছি ৷ যদি গণহারে নাম বাদ যায়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবো৷ সুপ্রিম কোর্ট SIR বাতিল করার ক্ষমতা রাখে৷”
অন্যদিকে, বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “এই বিশ্বে যে কোনও ডকুমেন্ট জাল করা যায় ৷ নির্বাচন কমিশন প্রতিটি আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড যাচাই করে দেখুক, সেগুলি জাল নাকি জাল নয় ৷ এই প্রক্রিয়ায় গণহারে নাম বাদ দেওয়ার বদলে গণহারে নাম যোগ করা উচিত ৷”
শেষ পর্যন্ত, কমিশনের তরফ থেকে আইনজীবী জানান, কমিশন আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ড গ্রহণ করছে ৷ কিন্তু তার সঙ্গে কিছু সমর্থনযোগ্য নথি দিতে হবে ৷
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আগামী ১২ই ও ১৩ই আগস্ট এই মামলার পুনরায় শুনানি রয়েছে।
এরপর কোন কোন রাজ্যে চালু হতে পারে SIR?
সম্প্রতি কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে শেষবার ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা করা হয়েছিল। ২৩ বছর পরে আবার চলতি বছরের অগস্ট থেকে তা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়ে নয়া পদ্ধতি পালনের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে ইতিমধ্যে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
এছাড়া আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ সহ অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয় ও জম্মু-কাশ্মীরে এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |