মায়ের বিয়ে দিল মেয়ে, ভাইরাল ‘গীতা LLB’ অভিনেত্রীর গায়ে হলুদের ছবি

Published:

geeta llb actress mallika banerjee got married on 24th january
Follow

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ মা ও মেয়ের সম্পর্ক অনেকটাই গভীর হয়, একটা বোঝাতে বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য রয়েছে, সেটা হল মেয়েরাই হয় মায়েদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। একথা আবারও সত্যি করে নজির গড়লেন টলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অর্থাৎ ২৪শে জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী, এর আগে সকালেই গায়ে হলুদের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে যা বেশ ভাইরাল হয়ে যায়।

বিয়ের পিঁড়িতে গীতা LLB অভিনেত্রী

বর্তমানে গীতা LLB সিরিয়ালে অভিনয় করছেন তিনি। বিয়ের সকলে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। বন্ধু বান্ধবী আর পরিবারের আত্মীয়দের মাঝেই হাতে শাঁখা পলা পরে উলুধ্বনি আর বলিউডের গানে জমিয়ে  নাচতেও দেখা গেল তাকে। একমাস আগেই অবশ্য বাগদান ও আইনি বিয়ের পর্ব মেটানো হয়ে গিয়েছিল। পার্ক স্ট্রিটের এক রেস্তোরাঁতেই পাত্র ডঃ রুদ্রজিৎ রায়ের সাথে আংটি বদল করে আইনিমতে বিয়ে সেরেছিলেন অভিনেত্রী।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বিয়ের ছবিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে শুভেচ্ছায় ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। ছবিতে লাল বেনারসি ও গা ৰতি সোনার গহনাতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর পাশেই ধুতি পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বর মশাই। জানা যাচ্ছে, মেয়ে গরিমার উদ্যোগেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, গরিমা ও রুদ্রকে দেখলে বোঝা মুশকিল যে ওরা বাবা-মেয়ে নয়।

কিভাবে শুরু হল জীবনের নতুন অধ্যায়?

যেমনটা জানা যাচ্ছে, পেশায় চিকিৎসক মল্লিকার স্বামী রুদ্রজিৎ রায়। তবে বাংলা অভিনয়  জগতে পরিচালক হিসাবেও নাকি কাজ করেছেন তিনি। করোনা মহামারীকালেই প্রথম দেখা হয় দুজনের। সেই সময় মা ও মেয়ের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। এরপর এক অনুষ্ঠানেও দুজনের দেখা হয়, সেই সময় পরিচিতি বাড়ে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে একটা সম্পর্ক তৈরী হয় যা প্রেমে পরিণত হয় আর এবার তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হতে চলেছেন।

আরও পড়ুনঃ এই কর্মীদের অবসরের বয়স ৩ বছর বাড়ানোর ঘোষণা রাজ্য সরকারের

প্রসঙ্গত, জীবনের প্রথম অধ্যায়ে ভালোবেসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মল্লিকা। এরপর তাদের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়, গরিমা। কিন্তু মুশকিল হল মেয়ের ৯ বছর বয়সের মাথায় পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন প্রথম স্বামী। ফলস্বরূপ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর একাই মেয়েকে মানুষ করতে থাকেন তিনি। ২ বছর পর মেয়ের বয়স যখন ১১, তখন সেই মাকে জানায় জীবনটা নতুন করে শুরু করার জন্য। শুরুতে কিঞ্চিৎ দ্বিথা বোধ করলেও শেষমেশ মেয়ের উদ্যোগে নতুন করে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join