শাঁখ বাজানোর পর নেচেও ট্রোলড! এবার পাল্টা জবাব দিলেন ঋতুপর্ণা

Published on:

rituparna sengupta

প্রীতি পোদ্দার: আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে এখনও প্রতিবাদমুখী সাধারণ মানুষ। আর তাদের সঙ্গেই জোট বেঁধেছে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বেশ কিছুদিন আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শাঁখ বাজিয়ে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এমনকি শ্যামবাজারে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েও হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে সেই সময় অভিনেত্রীকে সমর্থন করে বিনোদন জগৎ এর অনেকেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এতকিছুর পরে ট্রোলের হাত থেকে রক্ষানেই অভিনেত্রীর।

রেড রোডের কার্নিভালে নৃত্য পরিবেশনে ট্রোলের মুখে ঋতুপর্ণা!

WhatsApp Community Join Now

গত মঙ্গলবার রাজ্য সরকার আয়োজিত রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভালে নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাও আবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা গান এর তালে সেদিন মঞ্চমুগ্ধ করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের হাত থেকে রক্ষা পেলেন না তিনি। সমানে নেটিজেনরা তাঁকে কুমন্তব্য করেই চলেছে। অনেকেই লিখেছেন, ওনাকে কেউ একটা শঙ্খ দিন। উনি বাজাবেন। আবার অনেকেই ঋতুপর্ণার হেনস্থার দিনের কথা স্মরণ করে লিখেছেন যে সেদিন একেবারে সঠিক কাজ হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। এবার সেই সব নেটিজেনদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

স্পষ্ট জবাব অভিনেত্রীর

সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থার সাক্ষাৎকার পর্বে তিনি জানান “আমি একজন শিল্পী তাই শিল্পসত্তা নিয়েই গোটা জীবন। অনেক বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে আমি আজ এই স্থানে আসতে পেরেছি। প্রশংসার পাশাপাশি আমার সম্বন্ধে অনেক কুমন্তব্য শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি সবসময়। আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে আমি অত্যন্ত বিধ্বস্ত। যেসব ডাক্তাররা অনশন করছেন তাঁদের নিয়েও চিন্তিত। আমার ভিতরের কষ্ট বা প্রতিবাদ আমার কাছেই রাখতে চাই। আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাই না। কারণ যাঁরা সব কিছু এত খারাপ চোখে দেখেন আর এত বিরূপ মন্তব্য করেন, তাঁদের কোনও সুযোগ দিতে চাই না।”

তিলোত্তমার কারণে পুজোর উদ্বোধন বাতিল!

এদিন তিনি আরও বলেন, “আত্মসম্মান আর অভিমান আমার জন্মের থেকেই অধিকারের মধ্যে পড়ে। মা-বাবার শেখানো সংস্কার হলো, ছোটবেলা থেকে ভাবা যে কিছু মানুষের জন্য কীভাবে ভালো করতে পারি। অন্যের সমস্যায় কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ব, সেটাই শিখেছি। কাউকে প্রমাণ দিতে চাই না। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে এই যে রাজ্যে প্রশাসনকে আমাদের প্রয়োজন। তাই তাঁদের সমর্থন করার জন্যই একটা নাচ পরিবেশনা করেছিলাম। একজন শিল্পী হিসাবে এটাই আমি করতে পারি। অনেকের জীবিকা এবং পরিবার আমার উপর নির্ভর করে থাকে। অনেক অনুষ্ঠান, অনেক পুজোর উদ্বোধন বাতিল করেছি। পুরস্কার নিতেও যেতে পারিনি। কিন্তু দু’ একটা কাজের দিকে আমার নাচের দল তাকিয়ে থাকে। তাঁদেরও সংসার খরচ বহন করতে হয়। তাই আমি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। কালিমা লাগানো যাবে না এত সহজে।”

সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও সংযুক্ত করেন যে ”প্রধানমন্ত্রীকে আমি সম্মান করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষ যাত্রাতেও গিয়েছিলাম। তবে আমাদের সবাইকে কর্ম করতে হবে। কর্ম আমাদের ধর্ম। কর্মের মধ্যেই প্রতিবাদ থাকবে। থাকবে সুবিচারের প্রতীক্ষা। তিলোত্তমার পরিবারকে আমার প্রণাম। ডাক্তারদের প্রতি সহমর্মিতা রইল। সুস্থ হয়ে উঠুক সবাই এই কামনা করি।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X