প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) ও শ্রীময়ী চট্টরাজের সম্পর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকদের কাছে অত্যন্ত চর্চিত টপিক। তাঁদের সম্পর্কও বহু বছরের। যদিও প্রথম দিকে কাঞ্চন শ্রীময়ী দুজনেই ছিলেন নিছকই ভালো বন্ধু। রীতিমত কাঞ্চনকে মেন্টর এর চোখে দেখতেন। শুধু তাই নয় কাঞ্চনের দুর্দিনে শ্রীময়ী একমাত্র মানুষ ছিলেন যে কিনা শক্ত হাতে আগলে রেখেছিলেন। তবে অবশ্যই এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক কাঞ্চনের দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝামেলা, ডিভোর্স, বিয়ে এই নিয়ে নানা ধরনের খবর তখন বেশ টপ ট্রেন্ডে ছিল। তবে সব বিতর্ককে তুড়ি মেরে তৃতীয়বার চলতি বছর মার্চ মাসে ঘোর বাঁধলেন শ্রীময়ীর সঙ্গে।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ভুয়ো বলে দাবি শ্রীময়ীর
আর বিয়ের ৮ মাসের মাথায় কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর ঘর আলো করে ছোট্ট লক্ষ্মী এসেছে ঘরে। দীপাবলির ঠিক এক দিন বাদেই মিলেছে এই সুখবর। কন্যার নাম রেখেছেন ‘কৃষভি’। মেয়ের জন্মের পরই অভিনেতা জানিয়েছিলেন বাড়িতে লক্ষ্মী এসেছে। যদিও বিয়ের পর থেকেই শ্রীময়ী যে অন্তঃসত্ত্বা সেই আঁচ করেছিল নেটজেনরা। কিন্তু তাঁদের তরফ থেকে সেই খবর প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি মেয়ের জন্মের দিন দুপুর অবধি নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরকে ভুয়ো বলে দাবি করে এসেছেন শ্রীময়ী। এরপর ওইদিনই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে মা হয়েছেন কাঞ্চন-পত্নী। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই খুব ভালো আছেন।
বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার শ্রীময়ীর
শ্রীময়ীকে হাসপাতালে আগলে রাখছেন কাঞ্চন ও তাঁর পরিবার। সেই ছবি এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এল। মেয়ে হওয়ার আনন্দে শ্রীময়ীকে আদর চুমুতে ভরালেন কাঞ্চন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই প্রথম সেলফি শেয়ার করেন শ্রীময়ী। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। সেখানে তিনি লিখেছেন, “সফরটা ছিল অনেকটা লম্বা। ৯ মাসের একটা সফর। একটা শারীরিক এবং মানসিক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। একটা সফর, যেখানে আমি বুঝতে পারতাম আমার মধ্যে একটা ছোট্ট প্রাণ বেড়ে উঠছে। আমার কাছে আশীর্বাদের মতোই মনে হত। অনেকটা অপেক্ষার পরে অবশেষে আমার ঘরে একটা ছোট্ট দেবদূত এসেছে। প্রত্যেকটা কষ্ট, প্রত্যেকটা আবেগই ওর আসার কাছে ক্ষুদ্র হয়ে গিয়েছে।”
অন্যদিকে কাঞ্চন মল্লিক জানিয়েছেন, “শ্রীময়ীর অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রথম থেকে খুব সাবধানি ছিলেন। তাই আগেভাগে কোনও বার্তা কাউকে দিতে চাননি।” বাঙালির পরিবারের সংস্কার বলে এই সংবাদ না জানানোর উল্লেখও করেছিলেন কাঞ্চন। তবে এর আগে কাঞ্চনের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আপাতত ছেলে আর বাবার মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই বলেই দাবি ঘনিষ্ঠদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। এমনকি প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে।