শ্বেতা মিত্রঃ কয়েক বছর পর ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলার বেশ কিছু জেলা। যার মধ্যে অন্যতম হল ঘাটাল। দুর্গাপুজোর আবহে বাংলায় এহেন বন্যা সৃষ্টির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনেকে। এদিকে এই বন্যার আবহে নতুন করে একটি জিনিস নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। আর সেটা হল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ দেবকে। নিজের দল তো রয়েইছেই, এর পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির রোষের মুখেও পড়তে হচ্ছে ঘাটালের এই তারকা সাংসদকে। যদিও এবার সকলকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন দেব। আর দীপক অধিকারী ওরফে দেব যা জবাব দিলেন তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কড়া জবাব দেবের
বর্তমানে দেব নিজের আসন্ন সিনেমা ‘টেক্কা’-র প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত। এইটা সিনেমায় তাঁর সঙ্গে অভিনয় করবেন রুক্মিণী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ইতিমধ্যে এইটা সিনেমার ট্রেলার রিলিজ করেছে, আর ট্রেলার দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে। এই নিয়েই এখন ছবির কলাকুশলীরা প্রচারে ব্যস্ত। এই প্রচার করার পাশাপাশি নিজের সংসদীয় এলাকার মানুষের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে।
কখনো কলকাতা তো আবার কখনো ঘাটাল করছেন দেব। বন্যায় জর্জরিত ঘাটালবাসীর পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে। তারপরেও বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। এদিকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হল দেবকে। আর দেব যা বললে তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। তিনি বলেছেন, ‘নো কমেন্টস…তাদের কিছু বলার নেই। এরা তো বলবেই। আমি আমার কাছে কতটা ক্লিন, আমি আমার দায়িত্ব কতটা করতে পারছি সেটা আমার থেকে বেশি কেউ বুঝবে না। বা যেখানকার আমি এমপি তারা হয়ত বুঝবে। ঘাটালের মানুষ জানে, আমি তাদের পাশে আছি। এটাই আমার কাছে যথেষ্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী বলল, আমি জানতে চাই না।’
টেক্কা প্রসঙ্গে বড় দাবি দেবের
ঘাটালের পাশাপাশি দেবকে টেক্কা সিনেমা নিয়েও জবাব দিতে শোনা গিয়েছে। সিনেমায় তাঁর চরিত্রটি যে বেশ চ্যালেঞ্জিঙ তাও বলতে পিছপা হননি। অভিনেতা জানান, ‘টেক্কা আমার কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমি এর আগে সাঁঝবাতি-তে চাকরের চরিত্র করেছি। লোকে গ্রহণ করেছে। টেক্কায় একলাখের চরিত্রটা, যে সাফাইকর্মী সেখানে সবার প্রথম নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে। আমার চরিত্রটা ঠিক না হলে এই ছবির বাকি সব চরিত্রটা ফেল হয়ে যাবে। জমাদারের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে গেলে নিজেকে ভাঙতে হবে। পার্ক সার্কাসের মতো একটা জায়গায় থাকে একলাখ, যার শরীরি ভাষা,তাঁর কথাবলা সবটা যেন অন্যরকম হয়। সেখানে দেবের ছায়া থাকলে আমি ব্যর্থ। প্রধান থেকে খাদান, খাদান থেকে টেক্কা- নিঃসন্দেহে জার্নিটা সহজ ছিল না।’