সহেলি মিত্র, কলকাতা: ২০২৫ সালটা মোটেও বিনোদন জগতের জন্য ভালো যাচ্ছে না। মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক জনপ্রিয় শিল্পীর। তেমনই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গ। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। জানলে অবাক হবেন, জুবিন তাঁর কেরিয়ারে ৩২,০০০ এরও বেশি গান গেয়েছেন, সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এরইসঙ্গে একজন সুরকার ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তবে জানেন কি গায়ক জুবিন গর্গ কত টাকার সম্পত্তির (Zubeen Garg Net Worth) মালিক ছিলেন? চলুন জেনে নেবেন।
কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন জুবিন গর্গ?
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৪ সালে, গায়কের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা। বিলাসবহুল গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের প্রেমিক জুবিন গর্গ সক্রিয়ভাবে সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর আয়ের প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত, লাইভ কনসার্ট, সিনেমা এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর মাসিক আয়ের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
জুবিন গর্গের বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তার কাছে একটি BMW X5, একটি মার্সিডিজ-বেঞ্জ, একটি রেঞ্জ রোভার ভেলার এবং একটি কাস্টম-কোটেড ইসুজু SUV ছিল। প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের প্রতিও তার আগ্রহ কম ছিল না। প্রায়শই তাকে এই গাড়িগুলি চালাতে দেখা যেত।
জুবিন গর্গের প্রাথমিক জীবন ও কেরিয়ার
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর প্রাথমিক জীবন এবং কেরিয়ার সম্পর্কে বললে, জুবিন ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরার বোরঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত কন্ডাক্টর জুবিন মেহতার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল। তাঁর বাবা মোহিনী বোরঠাকুর ছিলেন একজন গীতিকার এবং তাঁর মা ইলি বোরঠাকুর ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী এবং গায়িকা।
১৯৯২ সালে জুবিন গর্গ সঙ্গীতকে ধ্যানজ্ঞান করে এতেই কেরিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই বছর তার প্রথম অ্যালবাম “অনামিকা” লঞ্চ হয়, যা তাকে উত্তর-পূর্বে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে, বলিউড সিনেমা “গ্যাংস্টার” (২০০৬) এর “ইয়া আলি” গানটিই তাকে ভারতজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়। তার কেরিয়ারে , জুবিন ৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছিলেন এবং প্রায় ৩২,০০০ গান রেকর্ড করেছিলেন। তিনি “মন জয়” এবং “মিশন চায়না” এর মতো অসমীয়া ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি “কিসমত” ছবির “দিলরুবা” গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, একজন সুরকার, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবেও ভালো পরিচিত ছিলেন।