সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: একজন চা বিক্রেতার কাছ থেকে উদ্ধার হল ১.০৫ কোটি টাকা, কাঁড়ি কাঁড়ি সোনা-রুপো আর ৮৫টি এটিএম কার্ড। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জে। সবথেকে বড় ব্যাপার, তার কাছ থেকে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) সংক্রান্ত বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আর পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, যারা পরস্পরের ভাই।
কী কী উদ্ধার হল?
সাইবার ডিএসপি অবন্তীকা দিলীপ কুমারের বক্তব্য, ১৭ অক্টোবর গোপন তল্লাশির ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের একটি বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। আর সেখানেই ১ কোটি টাকার বেশি নগদ, ৩৪৪ গ্রাম সোনা, ১.৭৫ কেজি রুপো উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৮৫টি এটিএম কার্ড, ৭৫টি ব্যাঙ্কের পাসবুক, ২৮টি চেকবুক, ২টি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন আর একটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি এই অভিযানে দুই ভাই অভিষেক কুমার এবং আদিত্য কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজটাকের রিপোর্ট মারফৎ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অভিষেক কুমার আগে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। পরে ব্যবসার জন্য দুবাইতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সাইবার জালিয়াতি নেটওয়ার্ক চালানো শুরু করেন। এদিকে তার ভাই আদিত্য কুমার ওই গ্রামেই থাকতেন এবং অবৈধ কার্যকলাপে তাকে সহায়তা করতেন। সবথেকে বড় ব্যাপার, অনেক অ্যাকাউন্টে জালিয়াতি করে তারা টাকা চাইত। মূলত বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই অর্থ সংগ্রহের জন্য সাইবার জালিয়াতি ব্যবহার করত তারা। এমনকি নগদ লেনদেনও পরিচালনা করছিল। তবে পুলিশের অনুমান, বাইরের রাজ্যেও তাদের বড় নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। এমনকি আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রে জড়িত থাকতে পারে।
বেশিরভাগ পাসবুকই বেঙ্গালুরুর
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানের সময় যে সমস্ত এটিএম কার্ড আর পাসবুকগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই বেঙ্গালুরু থেকে এসেছে। এর ফলে পুলিশ এবং সাইবার সেল দলগুলি বিষয়টিকে তদন্ত করছে। এমনকি অ্যাকাউন্টগুলি কোনও সাইবার নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত কিনা, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে জালিয়াতির সাথে সম্পর্কিত এই বিপুল পরিমাণে নগদ অর্থ, গয়না এবং জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়ার পর আয়কর বিভাগের একটি দল গোপালগঞ্জে পৌঁছেছে আর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।