NH10-র দায়িত্ব খোয়াল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এবার সিকিমের লাইফলাইনের রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেন্দ্র

Published on:

nhdcl

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পার্বত্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সড়ক পথগুলি প্রতিনিয়ত প্রায় ধসের শিকার হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও এই ধস-তিস্তা বিপর্যয় এর ফলে রীতিমত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আছে। তাইতো একবার বিপর্যয় হওয়ার পর পরেই সঠিকভাবে নিয়ম মেনে মেরামতি না হওয়ায় ফের অল্প দুর্যোগেই বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তাটি। এরপর পুজোর মুখে রাস্তাটি চালু হলেও সুদিন ফেরাতে পারেনি পাহাড়ি পর্যটনেরা। চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ের পুজো পর্যটন শিল্প। আর এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে চলেছে সেখানকার বাসিন্দারা। যার ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পূর্ত দপ্তরকে।

কেন্দ্রের হাতে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব

WhatsApp Community Join Now

১৯৬৮ সাল থেকে ওই জাতীয় সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ করত কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর। ১৯৮০ সালে তা দেখাশোনা শুরু করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। টানা প্রায় দশ বছর দেখাশোনা করার পর সড়কের দেখভালের ক্ষমতা চলে যায় রাজ্যের পূর্ত দফতরের কাছে। আর এই ক্ষমতা হস্তান্তর করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সড়ক দেখভালের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে রাস্তাটির দায়িত্ব NHIDCL-কে তুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অবশেষে তাঁদের দাবি পূরণ করে সিকিমের লাইফলাইনকে রক্ষা করার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার হাতে। ফলে এখন থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দেখাশোনা, মেরামত ও সংস্কারের দায়িত্ব এখন থেকে রাজ্যের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর থাকবে।

ভবিষ্যৎ এ উজ্জ্বল পর্যটন শিল্পের প্রসার !

এই সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা । কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে খুশি পর্যটন সংস্থাগুলিও। দার্জিলিংয়ের সাংসদ এই প্রসঙ্গে অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানান, “তরাই, ডুয়ার্স ও কালিম্পং পাহাড়ের কাছে এই সংবাদ অত্যন্ত আনন্দের। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি যেহেতু নতুন করে তৈরির পাশাপাশি বছরভর রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে, ফলে ভবিষ্যতে আর কোনও সমস্যা হবে না, শিল্প সংস্কৃতি উন্নত হবে।’

তবে শুধু ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক নয়, একইসঙ্গে ডালখোলা থেকে ঘোষপুকুর, সলসলাবাড়ি থেকে সংকোশ সহ একাধিক জাতীয় সড়কের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক সংস্থাটিকে। নতুন নামকরণ করা হয়েছে ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ থেকে হাসিমারা পর্যন্ত জাতীয় সড়কটির। অন্যদিকে, নেপাল সীমান্তের মেচি থেকে পানিট্যাঙ্কি বাজার এবং বাংলাদেশ সীমান্তের চ্যাংরাবান্ধা থেকে ময়নাগুড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কটির নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ৩২৭বি ও ৭১৭।

সঙ্গে থাকুন ➥