দেশে যেন ট্রেন দুর্ঘটনার ধারাবাহিকতা থামতেই চাইছে না। কয়েকটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশে আবারো বড়সড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেল। লাইন থেকে ছিটকে গেল একের পর এক ট্রেনের কামরা। আহত হলেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার সাতসকালে চক্রধরপুরে লাইনচ্যুত হয়েছে গেল হাওড়া-মুম্বাইগামী সিএসএমটি এক্সপ্রেস।
দেশে বড় রেল দুর্ঘটনা
এক বছর আগে থেকে ঘটে যাওয়া একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি সাধারণ মানুষের মধ্যে তাজা হয়ে রয়েছে। করমন্ডল এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, চণ্ডীগড় এক্সপ্রেস এরপর আজ আবার সিএসএমটি এক্সপ্রেস । সাম্প্রতিক সময় ঘটে যাওয়া একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আজ কাকভোরে বাংলায় ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে নতুন করে রেল যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৩টে ৪৫ নাগাদ ঝাড়খন্ডের রাজখারসওয়ান ও বরাবাম্বু রেল স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে।
লাইনচ্যুত ১৮টি বগি
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। দাবি করা হচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে মুম্বাইগামী ট্রেনের ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। জামশেদপুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বাদাবাম্বুর কাছে লাইনচ্যুত হয় হাওয়ারা-সিএসএমটি এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলকে দ্রুত পাঠানো হয়েছে এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চলছে।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওমপ্রকাশ চরণ জানিয়েছেন, কাছেই একটি মালগাড়িও লাইনচ্যুত হয়েছে, তবে দুটি দুর্ঘটনা একসঙ্গে ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। লাইনচ্যুত হওয়া ১৮টি বগির মধ্যে ১৬টি যাত্রীবাহী কোচ, একটি পাওয়ার কার ও একটি প্যান্ট্রি কার।রেলের মেডিক্যাল টিম আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে জানিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের চক্রধরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।