শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ১৬০-১৮০ কিমি অতীত, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আরও দ্রুতগামী বন্দে ভারত ছুটতে দেখবেন মানুষ। আরো দ্রুতগামী ট্রেন আগামী দিনে ছুটতে চলেছে ট্র্যাকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এর জন্য তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। চেন্নাই ভিত্তিক ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) এবং বিইএমএল যৌথভাবে হাই-স্পিড ট্রেন সেটগুলির নকশা ও উৎপাদনে নিযুক্ত রয়েছে। ভারতে নির্মিত এই নতুন ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ২৮০ কিলোমিটার। হাইস্পিড রেল করিডরে এই ট্রেনগুলো ছুটতে পারে।
২৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে ছুটবে বন্দে ভারত!
সম্প্রতি লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন যে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় বন্দে ভারত ট্রেনের সাফল্যের পর ভারতীয় রেল এখন হাইস্পিডের ট্রেন সেট ডিজাইন ও উৎপাদনের কাজ হাতে নিয়েছে। দেশীয় পদ্ধস্তিতে তৈরী এই ট্রেন নির্মাণে কোচ পিছু খরচ হবে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। যা অন্যান্য ট্রেন সেটের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
এমনিতে দেশবাসী অধীর আগ্রহের সঙ্গে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন চলা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে।এছাড়াও দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-আহমেদাবাদ, নাগপুর-মুম্বই, মুম্বই-হায়দরাবাদের হাই স্পিড রেল করিডরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রেল বোর্ডকে। ২০২৩-২৪ সালে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে চেন্নাই-মাইসোর এবং বারাণসী-হাওড়া হাই স্পিড রেল করিডরের প্রস্তাব জমা দেওয়া হতে পারে।
চুক্তিটি বিইএলকে দেওয়া হয়েছে
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএল) দুটি হাই-স্পিড ট্রেনের নকশা, নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ৮৬৭ কোটি টাকার চুক্তি পেয়েছে। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এগুলো নির্মাণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনে আটটি কোচ থাকবে। প্রতিটি কোচ তৈরি করতে ব্যয় হবে ২৭.৮৬ কোটি টাকা। চুক্তির মোট ব্যয় ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকা।
এই বিষয়ে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই নতুন ট্রেনগুলির এক একটি কামরা তৈরি করতে ২৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যান্য হাই স্পিড ট্রেনের সেট তৈরির খরচের তুলনায় এই নতুন ট্রেনগুলিতে ব্যয় খুব কম্পিটিটিভ। জাপানের বুলেট ট্রেনের থেকে ভারতের এই ট্রেন তৈরিতে খরচ আর্ধেক।’আট কামরার দু’টি ট্রেন তৈরি করবে বিইএমএল। আগামী দুই বছরে সেই ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।