সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যোগী রাজ্যের (Uttar Pradesh) মুকুটে নয়া পালক। 2024-25 সালেই 4000 নতুন কারখানা স্থাপন করে গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এর ফলে এই রাজ্যে এবার কারখানার সংখ্যা ছাড়িয়েছে 27 হাজার। মোদ্দা কথা, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যটি যে গতিতে শিল্পন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে, তা যে কোনও রাজ্যের কাছে দুঃস্বপ্ন। এমনকি এটি শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত অর্জন নয়, বরং স্বনির্ভর ভারতের জন্য উত্তরপ্রদেশের অগ্রগতির বিরাট মাইলফলক।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
সম্প্রতি জাগরণের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, 2003 সালে উত্তরপ্রদেশে মাত্র 8980টি কারখানা ছিল। 2021 সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় 16,503টিতে। 2022 সালে পৌঁছয় 17,481টিতে, 2023 সালে 19,100 আর এখন 2025 সালে এসে তা 27 হাজার ছাড়িয়েছে। ফলত, এই বৃদ্ধি শুধুমাত্র সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিল্প-ভৌগোলিক পরিকাঠামগত পরিবর্তনেও বিরাট মাইলফলক। এমনকি গ্রেটার নয়ডা আর লখনউয়ের মধ্যেই বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ নয়, বরং পানপুর, থেকে শুরু করে ঝাঁসি, গোরখপুর, আজমগড়, প্রয়াগরাজের মতো শহরেও কারখানাগুলি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান
ASI-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, 2023-24 সালে উত্তরপ্রদেশ দেশের শীর্ষ 15টি শিল্প রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থানে তকমা পেয়েছিল। 2023-24 সাল নাগাদ রাজ্যে 22,141টি কারখানা ছিল, যা দেশের মোট কারখানার মধ্যেই 8.5%। এমনকি এই ইউনিটগুলিতে 12.80 লক্ষের বেশি শ্রমিক নিযুক্ত ছিল যা দেশের মোট শিল্প কর্মীর 8.3%। সবথেকে বড় ব্যাপার, এই রাজ্যে বার্ষিক কারখানা বৃদ্ধির হার 16% ও শ্রমিক বৃদ্ধির হার 8%। ফলে কর্মসংস্থান যে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে গত সাড়ে আট বছরে যোগী সরকার শিল্পের জন্য উত্তরপ্রদেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছে, যা শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে না, বরং দীর্ঘমেয়াদেও তাদেরকে ধরে রাখছে। হ্যাঁ, রাজ্যের বিনিয়োগ খাতগুলিকে আরও স্বচ্ছ করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশকে দেশের নতুন বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলি মূলত ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, অটোমোবাইল, রাসায়নিক বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির খাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না ভারত!’ ট্রাম্পের মন্তব্যের পরই জবাব দিল দিল্লি
তবে উল্লেখ করার বিষয়, সরকারের লক্ষ্য শুধুমাত্র শহরে শিল্পন্নয়ন নয়, বরং গ্রামীণ শিল্পায়নকেও উৎসাহিত দেওয়া। সেই সূত্র ধরেই আজ উত্তরপ্রদেশের অনেক গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। মোদ্দা কথা, এই রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা যে দিনের পর দিন কমছে, তা পরিসংখ্যান দেখেই স্পষ্ট।