প্রীতি পোদ্দার, মুম্বই: ক্রাইম রিপোর্টের সমীক্ষাগুলি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় প্রতিদিনই প্রায় মহিলাদের ধর্ষণ, খুন আর অপহরণ এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবার অনেক এমন ঘটনাও আছে যেগুলি খবরের শিরোনামে ওঠে না। তাইতো বাস্তবের ছবিটা এর থেকে আরও অনেকটাই ভয়াবহ। সম্প্রতি এই আবহে আরও এক ধর্ষণের অভিযোগ সামনে উঠে এল। জানা গিয়েছে হোটেলের ঘরে ঢুকিয়ে কারখানার এক শ্রমিক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার সময় মৃত্যু হল ম্যানেজারের।
ঘটনাটি কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণকারী ওই ব্যক্তির বয়স ৪১ বছর। গুজরাটের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা কিশোরী যে হিরে কারখানায় কাজ করেন , সেই কারখানাতেই ম্যানেজারের পদে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। জানা যায় ওই কিশোরীর পরিবার খুবই গরীব থাকায় নানান রকমভাবে আর্থিক সাহায্য করতেন ওই ব্যক্তি। বাবা, মা এবং ভাই এর সমস্ত আর্থিক পরিস্থিতি দেখভাল করত ওই ম্যানেজার। তাঁকেও খুব বিশ্বাস করত নির্যাতিতার পরিবার। আর সেই সূত্রে ম্যানেজার ওই কিশোরীকে নানা ভাবে ভয় দেখাতে থাকেন। এমনকি তিনি ব্ল্যাকমেল করে এও বলেন যে তাঁর কথা না শুনলে বাড়িতে পাঠানো আর্থিক সাহায্য সমস্ত তিনি বন্ধ করে দেবেন। আর সেই কারণেই কিশোরীকে ম্যানেজারের সমস্ত কথা মেনে চলতে হত।
কিশোরীকে হোটেলে নিয়ে যান ম্যানেজার
ঠিক এমনভাবেই বেশ কয়েকদিন আগে ওই ব্যক্তি কিশোরীর পরিবারকে বলেন, তিনি বাড়ির সকলের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাই ওই কিশোরীকেও নিয়ে যেতে চান। রাজি হয় পরিবার। তাই রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ ওই কিশোরীকে নিয়ে তিনি চলে যান। এদিকে, হোটেলে ঢুকেই চেক ইন এর সময় ওই ম্যানেজার জানান, এই কিশোরী তাঁর মেয়ে। সেই হিসেবে ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ভুয়ো আধার কার্ডও তিনি দেখান হোটেলে। আর তারপরেই হোটেলের ঘরে ঢুকে শুরু হয়ে যায় কিশোরীর ওপর অকথ্য অত্যাচার।
কিশোরী অভিযোগ করে যে নানাভাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি। আর হুমকি দিতে থাকেন এই বলে যে ঘটনা নিয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে পরিবারকে দেওয়া আর্থিক সাহায্য তিনি বন্ধ করে দেবেন। এছাড়াও যে টাকা তিনি দিয়েছেন, সেই টাকাও তিনি ফেরত নিয়ে নেবেন যদি কিশোরী তাঁর কথা না শোনে। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই ম্যনেজার নাকি সেই দিন রাতে যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন। আর সেই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ করতে গিয়েই তিনি আচমকা লুটিয়ে পড়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশ।