প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি কাশ্মীরের পাহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) অঞ্চলে পর্যটকদের ওপরে জঙ্গিদের আক্রমণ সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। গোটা দেশের মানুষ সেই অত্যাচারিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যেন উঠে পরে লেগেছে। তবে চুপ করে বসে নেই কেন্দ্রীয় সরকার।
ধাপে ধাপে বৈঠকের মাধ্যমে এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মোদি সরকার। আর এই আবহে ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। এবং সেই কারণে এবার কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দিল ওমর আবদুল্লার সরকার।
অ্যান্টি ফিদায়েঁ স্কোয়াড নামিয়েছে পুলিশ
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে, ISI এর ছক অনুযায়ী পাক জঙ্গিরা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চলেছে এবং স্থানীয় জঙ্গিদের সাহায্য নিয়ে বড় হামলার ছক কষতে চলেছে। তাদের হামলার টার্গেট হবে নিরাপত্তা রক্ষী, অ-কাশ্মীরি, পুলিশ ও কাশ্মীরি পণ্ডিত। তাই দ্বিতীয়বার যাতে পাহেলগাঁও এর মতো ঘটনা পুনরায় না ঘটে, সেজন্য অধিকাংশ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পর্যটনকেন্দ্র আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যান্টি ফিদায়েঁ স্কোয়াড নামিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। গুলমার্গ, সোনমার্গ, ডাল লেকের মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
কোথায় কোথায় বন্ধ রাখা হয়েছে?
যে সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ করা হয়েছে সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসি ময়দান, দুধপাথরি, আহরওয়াল, কৌসরনাগ, বাঙ্গাস, কারিওয়ান ডাইভার চান্দিগ্রাম, বাঙ্গাস ভ্যালি, উলার, রামপোরা, রাজপোরা, চিয়ারহড়, মুন্দিজ হাম্মাম মার্কুট জলপ্রপাত, খাম্পু, ভিজিটপ, সান টেম্পল, ভেরিনাগ গার্ডেন, জামিয়া মসজিদ। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রিসর্ট এবং হোটেল বন্ধ করেছে কাশ্মীর সরকার। কাশ্মীরে এখন পর্যটকের মরশুম। কিন্তু বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর প্রায় পর্যটকশূন্য। দেশের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি আড়ি পেতে বার্তা ডিকোড করে জানতে পেরেছে যে, পাহেলগাঁও এর পর কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি আত্মগোপন করে থাকা গোষ্ঠী হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাক প্রশিক্ষিত আত্মঘাতী মুজাহিদিন জঙ্গিও রয়েছে তার মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ১ মে থেকে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ১৫ ব্যাঙ্ক! তালিকায় বাংলার ৩, আপনার অ্যাকাউন্ট আছে?
এছাড়াও ফোনে আড়ি পেতে জানা গিয়েছে যে কাশ্মীরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলিকে অপারেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু একের পর এক জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার পাল্টা আরও বড়সড় আঘাত হানার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। অনুমান করা হচ্ছে গোলাবর্ষণের আড়ালেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে এই জানা গিয়েছে যে ভারতের হামলার ভয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের অত্যাধুনিক রাডার প্রযুক্তি সিয়ালকোটের কাছে মোতায়েন করে রেখেছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।