চারধাম যাত্রার শুরুতেই মৃত্যু ৮৩ পুণ্যার্থীর! কেদারনাথে সবথেকে বেশি, সামনে এল কারণ

Published:

Char Dham Yatra
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: চারধামের (Char Dham Yatra) কথা শুনলেই যেন হিন্দুদের পবিত্র তীর্থযাত্রার কথা মনে পড়ে। হ্যাঁ, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কল্যাণের আশায় পাড়ি দেন এই কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীর পথে। তবে চলতি বছর সেই যাত্রায় থেকে গেল শোকের ছায়া। কারণ মাত্র এক মাসের মধ্যেই চারধাম যাত্রায় 83 জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছে।

কোথায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে?

সম্প্রতি উত্তরাখন্ড প্রশাসনের দেওয়া এক তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা পথে। হ্যাঁ, কেদারনাথ যাত্রায় এক মাসে 38 জন প্রাণ হারিয়েছে, এমনকি বদ্রিনাথে 17 জন, গঙ্গোত্রীতে 15 জন এবং যমুনাত্রীতে 13 জন প্রাণ হারিয়েছে। আর এই চারধাম মিলিয়ে মোট 83টি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে বলেই খবর।

মৃত্যুর নেপথের কারণ কী?

চিকিৎসকদের মতে, এই দুর্ঘটনার পেছনে সবথেকে বড় কারণ উচ্চতাজনিতে অসুস্থতা। হ্যাঁ, অতিরিক্ত উচ্চতায় অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে, একথা সবাই জানে। আর দীর্ঘ পাহাড়ি পথ হেঁটে যাওয়ায় বৃদ্ধ বা অসুস্থ পুণ্যার্থীদের শ্বাসযন্ত্রে আচমকা চাপও সৃষ্টি হয়। 

আর তখন দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহ করা না গেলে সেখানেই মৃত্যু ঘটে পুণ্যার্থীদের। কেউ কেউ তো আগে থেকেই হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন, যা অতিরিক্ত পরিশ্রমে আরও গুরুতর আকারে নিয়েছিল। ফলে ওখানেই মৃত্যু হয় এই পুণ্যার্থীদের।

পরিসংখ্যান কী বলছে?

উত্তরাখণ্ড সরকারের দেওয়া সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, 5 জুন পর্যন্ত চারধাম দর্শন করেছে মোট 22 লক্ষ 30 হাজার পুণ্যার্থী। আর 5 জুনই চারধামে ভিড় করেছে প্রায় 78 হাজার মানুষ। এমনকি এদিন কেদারনাথে 24,871 জন, বদ্রিনাথের 23,729 জন, গঙ্গোত্রীতে 13,117 জন, যমুনাত্রীতে 9,880 জন এবং হেমকুন্ডু সাহিবের 7,199 জন পুণ্যার্থী ছিল বলেই খবর। আর এই বিপুল পরিমাণে ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ।

রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব আর রাজেশ কুমার জানিয়েছে যে, তীর্থপথ জুড়ে 4 লক্ষ 30 হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এই যাত্রাপথে 29 জন মেডিকেল অফিসার, 121 জন নার্স, 26 ফার্মাসিস্ট, 309টি অক্সিজেনযুক্ত সজ্জা, 6টি আইসিইউ শয্যা এবং অ্যাম্বুলেন্স ও ব্লাডব্যাঙ্ক রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কোনও বাংলাদেশী রেহাই পাবে না! অনুপ্রবেশ রুখতে বিরাট পদক্ষেপ লালবাজারের

কবে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা?

সূত্রের খবর, গত 30 এপ্রিল গঙ্গোত্রী এবং যমুনাত্রীর দরজা খোলা হয়েছিল। আর 2 মে খোলা হয়েছিল কেদারনাথ ধামের দরজা। একইভাবে 4 মে বদ্রিনাথ ধাম দর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এপ্রিলের শেষ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শোকস্তব্দ 83টি পরিবার।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join