কলকাতাঃ এমনও যে কারোর মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে তা হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। জন্মদিনের পার্টিতে মোদের যোগান কম থেকে বন্ধুকেই পাঁচতলা থেকে ফেলে দিল আরেক বন্ধু! তাও কিনা তাকেই যার জন্মদিন ছিল! কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এরকমই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গিয়েছে দেশে।
মদ না পেয়ে বার্থডে বয়কেই খুন
জন্মদিনের পার্টিতে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে হৈ হুল্লোড়, নাচ-গানা, খাওয়া দাওয়া হবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু পার্টিতে মদ কম থাকায় রাগের বশে বার্থডে বয়কেই কিনা খুন করা এরকম নজিরবিহীন ঘটনা হয়তো আগে কখনো ঘটেনি। তবে এক্ষণ ঘটেছে। আর এই ঘটনা সকলকে তাজ্জব করে রেখে দিয়েছে। এখন হয়তো জন্মদিনের পার্টিতে কেউ কাউকে ডাকতেও আগে দশবার ভাবনাচিন্তা করে নেবে। চাঞ্চল্যকর এহেন ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের কল্যাণের চিচড়িপদ গ্রামে। মৃতের নাম কার্তিক ভয়াল। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জুন রাতে।
কী ঘটেছিল
কল্যাণের চিঞ্চপাড়া গ্রামে কার্তিক ভায়াল তাঁর জন্মদিনে একটি পার্টির প্ল্যান করেছিলেন এবং তাঁর বন্ধু নীলেশ ক্ষীরসাগর, সাগর কালে এবং ধীরজ যাদবকে পার্টিতে আসতে বলেছিলেন। কার্তিক ভয়ালের বাড়িতে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। কার্তিক নিজের ২৫ তম জন্মদিন উদযাপন করছিলেন। কিন্তু কেউ কী ভাবতে পেরেছিল যে এমন পরিণতি হবে তাঁর।
মদ শেষ হতেই তুমুল ঝগড়া
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, তবে পার্টি চলাকালীন, মদ শেষ হয়ে যায়, যার পরে কার্তিক এবং তার বন্ধুদের মধ্যে কিছুটা তর্ক শুরু হয়। তর্কাতর্কির পর বিষয়টি ঝগড়া চরমে পৌঁছায় এবং চারজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এদিকে কার্তিকের মনে হলো তার বন্ধুরা তাকে অপমান করছে, তাই সে মদের বোতল তুলে নিয়ে নীলেশের মাথায় বোতল ভাঙে। এই ঘটনা কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার সমান হয়।
এইপর বন্ধুদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে নিজের বেডরুমে ঘুমোতে চলে যায় কার্তিক। এদিকে, তিন বন্ধু কার্তিকের ঘরে গিয়ে তাকে বারান্দায় নিয়ে যায় এবং তাকে পাঁচতলা তলা থেকে সোজা নিচে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কার্তিকের। ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ যখন তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তিনজনই একটি ভিন্ন গল্প বলে। অভিযুক্তরা জানান, কার্তিক কীভাবে পড়ে গিয়েছিল তা তাঁরা জানেন না। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপরই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।