ভারতের এক সিদ্ধান্তে মুখে হাসি দেশের পাট ব্যবসায়ীদের! বিপাকে বাংলাদেশ

Published on:

Bangladesh

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আমদানি বন্ধ হতেই ভারতের কৃষকের মুখে হাসি ফুটল। হ্যাঁ, যেখানে ক’মাস আগেই মাথায় হাত ছিল কৃষকদের, সেই হরিহরপাড়ার মাঠ এখন সবুজে সবুজ। কারণ একটাই, পাট। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বহুল আলোচিত সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট আমদানি বন্ধ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আসলে এই ঘোষণার পর দেশের পাট চাষিদের মুখে যেন হাসির জোয়ার বইছে। মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যেমন দস্তরপাড়া, শ্রীহরিপুর, আব্দুলপুর, কিংবা মামদালুপুর, সব জায়গার চাষিরা এখন আগাম পাট কাটার জন্য প্রস্তুত। এক কথায় চাষিদের মুখে এখন চওড়া হাসি।

পাটের দাম দ্বিগুন

News 18-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবছর যেখানে প্রতি কুইন্টাল পাট বিক্রি হয়েছিল 3800 থেকে 4000 টাকায়, সেখানে এখন একই পরিমাণ পাটের দাম দাঁড়িয়েছে 7500 থেকে 8000 টাকা। আর এই দাম শুনে খুশির জোয়ারে ভাসছে বাংলার কৃষকরা। একজন পাট চাষী  জানিয়েছেন, গত বছর পাট বেঁচে লাভ তো দূরের কথা, বরং খরচের টাকাটাই ওঠেনি। তাই অনেকেই পাঠ চাষ ছেড়ে তিল চাষের দিকে ঝুঁকেছিল। তবে এবার যেন সব পূরণ হয়ে গিয়েছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কেন্দ্র সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?

আসলে দেশীয় শিল্পের স্বার্থে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির উপর স্থলপথে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, আগে প্রতিবছর প্রায় 600 কোটি টাকার কাঁচা পাট বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসত। আর সেই আমদানিতেই মার খেত এদেশের কৃষকরা। আর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাজারে বাংলাদেশের পাটের চাহিদা না থাকায় দেশীয় পাটের চাহিদা বেড়েছে। এমনিতেই বাজারে পাটের ঘাটতি ছিল, তার উপর আমদানি বন্ধ হওয়ার দরুণ দাম এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে।

উল্লেখ্য, হরিহারপাড়া অঞ্চলের বহু কৃষক এখন আগাম পাঠ করতে শুরু করে দিয়েছে। এর কারণ, মূলত বাজারে এখন দাম তুঙ্গে, আর পাটের চাহিদাও প্রচুর। আর সেই সুযোগ এখন কেউ হাতছাড়া করতে চাইছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, দাম যখন বাড়ে, তখন চাষিরা আগাম কেটে নেয় ঠিকই। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী মৌসুমে পড়তে পারে। তাই পরিকল্পনা করে চলাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন! কোথায় সুরক্ষা? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল আমেরিকার সংস্থা

এদিকে বাংলাদেশে জমছে উদ্বেগ। কারণ ভারত তাদের সবথেকে বড় পাট রপ্তানির বাজার বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের কৃষকরা সেই ফাঁকে বাজারে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্ত যে ভারতের অ্যাগ্রো-ন্যাশনাল পলিসি অনুযায়ী ওপার বাংলার জন্য মোক্ষম চাল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group