প্রীতি পোদ্দার: যোগীরাজ্যে একের পর এক হিংসামূলক ঘটনা ঘটতেই দেখা যায়। বারবার সেই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা জনিত প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসন। এমনকি সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। সম্প্রতি খবরের শিরোনামে ফের উঠে এল উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলা। এক শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল ওই শহরে।
ঘটনাটি কী?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ এর বদায়ুঁ জেলার বিলসি থানা এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি বাজারে গিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েন শিশুটির বাবা-মা। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেও কোনও হদিস পাওয়া যায় না। শেষমেশ বিকেলের দিকে কোন উপায় না দেখে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
এরপর পুলিশ সেখানকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখে। আর সেই ফুটেজে দেখা যায় ওই শিশুটিকে এক ব্যক্তির সঙ্গে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। আর সেই অভিযানে শিশুর বাড়ির কাছের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে রাত ১০টা নাগাদ শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের ভয়ংকর অভিযোগ তাঁদের শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযুক্তকে ধরে এনকাউন্টার পুলিশের
জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের ধরার জন্য ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছন পুলিশ সুপার ব্রিজেশ কুমার। এবং সেখানে পুলিশের চারটি দল গঠন করে। অভিযুক্তের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শনিবার ভোর ৪টের সময় অভিযুক্তকে বিনপুর এলাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রেফতার করতে গেলেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্ত। তাতে এক পুলিশকর্মী আহত হন। প্রাণ রক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। অভিযুক্তের পায়ে লাগে। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশে বাহরাইচে দুর্গাপুজোর ভাসানে বিসর্জনে বাজনা বাজানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। আর সেখানেই খুন হন ২২ বছরের রামগোপাল মিশ্র। আর সেই খুনে অভিযুক্ত সরফরাজ, তালিম ধরা পরার ভয়ে নেপাল সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আর তার পরই তাদের গুলি করে পুলিশ। তবে গুলি করা হয়েছে পায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।