প্রীতি পোদ্দার, লখনউ: সামনে খোলা রয়েছে বই। পড়ুয়ারাও বেঞ্চে বসে রয়েছেন পড়াশোনার জন্য। কিন্তু স্কুলশিক্ষক (Teacher) না পড়িয়ে তাঁর মোবাইলে দেখছে অশ্লীল ভিডিও। আর সেটি আট বছরের এক ছাত্র দেখে ফেলায় মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
ঘটনাটি কী?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কুলদীপ যাদব। অভিযোগ উঠেছে, ক্লাসে বসেই তিনি পড়ুয়াদের না পড়িয়ে নিজের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখছিলেন। সেই সময় আট বছরের এক খুদে ছাত্র উঁকি মেরে তা দেখে ফেলে। তার পর আশেপাশের আরও কয়েক জন ছাত্র শিক্ষকের কীর্তি দেখতে পায়। ক্লাসের মধ্যেই হাসাহাসি শুরু করেছিল তারা। আর তাতেই রেগে যান অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। আর তখনই রাগের মাথায় তিনি ওই ছাত্রকে ধরে দেওয়ালে তার মাথা ঠুকে দেন। এমনকি বাচ্চাটাকে বেত দিয়েও মারধর করেন তিনি। কানে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে। শরীরেও একাধিক জায়গায় কালশিটে পড়ে গিয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে
বাড়িতে গিয়ে ছাত্র তাঁর বাবা মাকে সমস্ত ঘটনা জানালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছেন সেই ছাত্রের বাবা। অভিযোগ ওঠে প্রায়ই ওই শিক্ষক ক্লাসে বসে এই ধরনের ভিডিয়ো দেখতেন। বাঁশ দিয়েও ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শেষে অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাঁসি গ্রামীণের পুলিশ সুপার গোপীনাথ সোনি জানিয়েছেন, শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ক্লাসে ঠিক কী ঘটেছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শিক্ষকের সম্পর্কে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। ক্লাসে বসে তিনি নাকি প্রায়ই অশ্লীল ভিডিয়ো দেখছিলেন। তবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে গোটা ঘটনার। আদৌ শিক্ষক ক্লাসে এই অপকর্ম করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছেন, এখনও তা জানা যায়নি।