নাবালিকার ধর্ষণকারীকে সাজা, অভিযুক্তর এনকাউন্টার SI সাবিনার

প্রীতি পোদ্দার, লখনউ: ফের যোগীরাজ্যে (Lucknow) ধর্ষনের অভিযোগ উঠল! চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু গোটা ঘটনায় এবার যোগী পুলিশের অন্য রূপ দেখল গোটা রাজ্য। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে রীতিমতো এনকাউন্টারের পর একটি গোপন আস্তানা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লখনউ পুলিশ।

ঘটনাটি কী?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ মে রাত ২ টোর সময় উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে চার বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কমল কিশোর ওরফে ভদর। সংকটজনক অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিশু কন্যাটিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকা জুড়ে। অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি কমলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে।

অভিযুক্তকে এনকাউন্টার মহিলা পুলিশ সদস্যের

পরে একটি বিশেষ সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত কমল কিশোর ওরফে ভদর একটি গোপন আস্তানায় কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। আর তখনই পুলিশকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত। প্রতিরক্ষা স্বরূপ পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তখনই মামলার প্রধান তদন্তকারী এসআই সাকিনা খানের ছোড়া গুলি অভিযুক্তের পায়ে এসে লাগে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে, আহত অবস্থায় পায়ে কাপড় জড়িয়ে অভিযুক্তকে গাড়িতে তুলছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পুলিশকে গালিগালাজ করলেই ৩ মাসের কারাদণ্ড! কঠিন শাস্তি পাবে অনুব্রত? আজই হাজিরা

পুলিশের থেকে পাওয়া প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বেশ কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এই অস্ত্রগুলি কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছে। এছাড়াও এনকাউন্টারটি রেকর্ড করা হয়েছে। এবং মামলার রেকর্ডে এসআই সাকিনা খানের এনকাউন্টার লিপিও রেকর্ড করা হয়েছে। পরে সংবাদমাধ্যমে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অর্থাৎ DCP ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে কমল কিশোরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা জারি করা রয়েছে।