ঠোঁটে লিপস্টিক পরায় মহিলা কর্মীকে ট্রান্সফার, বিতর্কে পুরসভা! সাফাই দিলেন মেয়র

Published on:

lipstick

শ্বেতা মিত্রঃ এবার ঠোঁটে লিপস্টিক পরায় মহিলা কর্মীকে ট্রান্সফার করে বিতর্কে জড়াল পুরসভা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এদিকে এহেন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইতে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের এক উচ্চ পদস্থে থাকা মহিলা কর্মীকে বদলি করা হল। মহিলা কর্মীটির শুধু ‘দোষ’ ছিল সে ঠোঁটে লিপস্টিক পরে অফিসে এসেছে।

ঠোঁটে লিপস্টিক পরায় মহিলা কর্মীকে ট্রান্সফার করল পুরসভা

WhatsApp Community Join Now

অভিযোগ, ওই মহিলা কর্মীকে নাকি জানানো হয়েছে যে অফিস নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনি ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে এসেছেন, এটা অফিসের নিয়ম নয়। বছর ৫০-এর এসবি মাধবের অভিযোগ, তাঁকে মেয়রের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। মাধবী নাকি মেয়র আর প্রিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিব শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে বা অন্য কাউকে লিপস্টিক লাগিয়ে কাজে যেতে বাধা দেওয়ার যুক্তি কী? এই বিষয়ে তিনি নাকি কোনরকম সদুত্তর পাননি বলেও জানান।

কী বলছেন ভুক্তভোগী?

গত ৬ আগস্ট পুরসভাকে একটি চিঠি লেখেন মাধবী। সেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি আমাকে লিপস্টিক লাগাতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু আমি তা করেছি। যদি এটা অপরাধ হয়, তাহলে লিপস্টিক লাগাতে নিষেধ রয়েছে এমন সরকারি আদেশ দেখান। এটি গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন, এবং এই ধরনের নির্দেশিকা এক কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন। আপনার এইটা নির্দেশিকা কেবল তখনই বৈধ হবে যদি আমি ডিউটি আওয়ারে কাজ না করি। নির্দেশে কর্তব্যে অবহেলা, কাজের সময় কাজে উপস্থিত না হওয়া এবং সিনিয়রদের আদেশ অমান্য করার মতো অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।’

সাফাই দিলেন মেয়র

এদিকে এক ঘটনা প্রসঙ্গে সাফাই দিয়েছেন পুরসভার মেয়র প্রিয়া। তাঁর বক্তব্য, চেন্নাইয়ের রিপন বিল্ডিংয়ে নারী দিবস পালিত হয়। এই সময়ে মাধবী একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন, যার পরে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও অফিসে তিনি ম্যাট লিপস্টিক লাগিয়ে এসেছিলেন, যা ছিল খুবই আকর্ষণীয়। যেহেতু মেয়রের অফিসে মন্ত্রী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘন ঘন আসেন, তাই আমার পিএ তাকে এই জাতীয় শেড লাগাতে নিষেধ করেছিলেন। প্রিয়া হলেন তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা যিনি মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মাধবীর বদলির সঙ্গে এর লিপস্টিক পরা নিয়ে কোনো সম্পর্ক নেই।’

এদিকে মাধবী বলেন, ‘সুদূর মানালি এলাকায় পোস্টিং আমার কাছে শাস্তির মতো। এই পোস্টিংটি আমার এবং আমার সন্তানের জন্য একদম সঠিক ছিল কারণ আন্না নগর, আম্বাত্তুর এবং ভালসারাবক্কম কাছাকাছি রয়েছে। এখানেই আমার ছেলে, পরিবার থাকে।’

সঙ্গে থাকুন ➥