১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫০০? DA-র পর পেনশন, EPFO নিয়ে আসছে বড় খবর

Published on:

epfo

কলকাতাঃ লোকসভা ভোট মিটে গিয়েছে। ফের একবার কেন্দ্রে গঠিত হয়েছে NDA সরকার। এতে তো কোনও সন্দেহ নেই যে বিগত কিছু বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের DA থেকে শুরু করে বেতন, অন্যান্য ভাতা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সম্প্রতি ৪ শতাংশ ডিএ অবধি বৃদ্ধি পেয়েছে সকলের। এতে করে উপকৃত হয়েছেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী। তবে লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই সরকারি কর্মীরা দুটি বিষয়ের ওপর জোরালো দাবি জানাচ্ছেন, এক অষ্টম পে কমিশন ও বাড়তি পেনশন। এবার এই পেনশন নিয়েই বড় খবর সামনে উঠে আসছে।

পেনশন নিয়ে বড় খবর

WhatsApp Community Join Now

সরকারি কর্মীদের পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০০ টাকা করা হোক, এই দাবি দীর্ঘদিনের। ভোট মিটতে এই দাবি আরও জোড়ালো হয়েছে রীতিমতো। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীরা তাদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রভিডেন্ট ফান্ডে দান করেন। সংস্থাগুলি এই ১২% অবদানের সাথে মিলিয়ে ইপিএফও-তে অর্থ জমা করে, যা নিয়োগকর্তার অবদানকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয় – অবদানের ৮.৩৩% কর্মচারী পেনশন স্কিমে (EPS) এবং ৩.৬৭% EPF স্কিমে জমা হয়। ২০১৪ সাল থেকে ইপিএস-১৯৯৫ অনুযায়ী পেনশনভোগীদের ন্যূনতম ১০০০ টাকা পেনশন নির্ধারণ করে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই ইপিএসের আওতায় এই পেনশন বাড়িয়ে মাসে কমপক্ষে ৭৫০০ টাকা করার দাবি উঠে আসছিল।

বড় দাবি সরকারি আধিকারিকদের

জানলে চমকে উঠবেন, সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বহু সরকারি কর্মী। ন্যূনতম মাসিক সাড়ে সাত হাজার টাকা পেনশনের দাবিতে বুধবার যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ ডেকেছে পেনশনভোগীদের সংগঠন ইপিএস-৯৫ জাতীয় আন্দোলন কমিটি। এই কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ৭৮ লক্ষ পেনশনভোগী বহু বছর ধরে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির জন্য ইপিএফও-র দ্বারস্থ হচ্ছেন কিন্তু সরকার তাদের কোনও কথাই শোনেনি। ফলে এবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

EPF এবং EPS-র মধ্যে পার্থক্য কী?

এখন আপনিও নির্ঘাত ভাবছেন যে EPF and EPS-95-এর মধ্যে পার্থক্য কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, ইপিএফ এবং ইপিএস হল ইপিএফ ও বিবিধ বিধান আইন, ১৯৫২ দ্বারা পরিচালিত অবসরকালীন সুবিধা প্রকল্প। ইপিএফের অধীনে, নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়ই অবদান রাখে। অন্যদিকে, ইপিএস কর্মচারী অবদান ছাড়াই পেনশন প্রদান করে। তাই ইপিএস-৯৫ জাতীয় আন্দোলন কমিটির সদস্যরা তাদের উদ্বেগ নিরসনে সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৩১ জুলাই যন্তর মন্তরে একটি সিদ্ধান্তমূলক প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছেন।

কমিটির সভাপতি অশোক রাউত বলেন, “বর্তমানে পেনশনভোগীরা গড়ে মাসিক পেনশন পান মাত্র ১,৪৫০ টাকা, যেখানে ৩.৬ মিলিয়ন পেনশনভোগী প্রতি মাসে ১০০০ টাকারও কম আয়ে বেঁচে থাকেন। আমরা এখন সেই রাজনৈতিক দলগুলিকে সমর্থন করব যারা আমাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।”

সরকারের নয়া নিয়ম

এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী, ইপিএসের কোনও সদস্য পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবেন, যদি তিনি ১০ বছর চাকরি করার যোগ্যতা পূর্ণ করেন। কমিটির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র সিং বলেন, “শাসক বা বিরোধী দলগুলির ন্যূনতম পেনশন ৭,৫০০ টাকা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, এর সাথে মহার্ঘ ভাতা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা … যাতে প্রবীণরা তাদের অবশিষ্ট বছরগুলোতে সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।”

সঙ্গে থাকুন ➥