আলু, পেঁয়াজ ছাড়া বাঙালির হেঁশেল একপ্রকার খাঁ খাঁ করে। প্রতিদিনের রান্নায় আলু, পেঁয়াজ বা অন্যান্য শাকসবজি যদি না থাকে তাহলে খাওয়ারটাই যেন মাটি হয়ে যায়। এদিকে শাকসবজি কিনতে গিয়ে রীতিমতো ছ্যাকা খেতে হচ্ছে বাঙালিদের। সর্বোপরি আলু কিনতে গিয়ে তো রীতিমতো পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সকলের। কারণ এই আলু কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা তো কোথাও বিক্রি হচ্ছে আবার ৪০ টাকা কেজিতে। কোনরকম হিসাব নেই আলুর দামের ওপর। আলুর পাশাপাশি অন্যান্য শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস রীতিমতো দিনে দিনে মহার্ঘ্য হয়ে উঠছে। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ বাঙালিদের জন্য রইল দুর্দান্ত সুখবর। এবার একদম জলের দরে পেয়ে যাবেন জিনিসপত্র। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিশেষ করে আলু তো একদম এবার কম দামে পেয়ে যাবেন।
বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে রীতিমতো এবার আসরে নামল সরকার। সকলকে স্বস্তি দিয়ে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার। এদিকে সরকারের এক সিদ্ধান্তের জেরে আমূল বদলে যেতে চলেছে সকলের জীবন। সকলেই সরকারের সিদ্ধান্তকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন এখন আপনিও নিশ্চয় ভাবছেন যে সরকার কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর। বিদেশ থেকে আলু আমদানি করতে চলেছে। এবার এবার বাজার থেকে শুরু করে আপনার হেঁশেলে স্থান করে নিতে চলেছে ভুটানের আলু।
এবার মিলবে ভুটানের আলু
এক রিপোর্ট অনুসারে, দেশে আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশি থাকতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এ অবস্থায় দাম কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা ভাবছে সরকার। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছে, সরকার প্রতিবেশী ভুটান থেকে আলু আমদানির অনুমোদন দিতে পারে। অন্যান্য দেশ থেকে আলু আমদানির বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।
বর্তমানে বাংলার বাজারে আলুর দর ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা অবধি ছুঁয়েছে। অন্যদিকে দিল্লির আজাদপুর মন্ডিতে আলুর দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা। নয়ডায় আলুর দাম প্রতি কেজি প্রায় ৪৪ টাকা।
বড় প্ল্যান সরকারের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি আধিকারিক জানান, আপাতত ব্যবসায়ীদের স্বল্প পরিমাণে আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারে সরকার। গত বছর ভুটান থেকে আলু কেনার অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। গত বছর সরকারের দেওয়া অনুমোদনের আওতায় ব্যবসায়ীরা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত লাইসেন্স ছাড়াই ভুটান থেকে আলু কিনে ভারতে আনতে পারতেন। পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের মতো প্রধান আলু উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে এ বছর চরম আবহাওয়ার কারণে ক্ষতির ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে দাম বেড়েছে। তবে শীঘ্রই এই পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে আশাবাদী সরকার।
গত বছর ভারতে ৬০.১৪ মিলিয়ন টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল। এ বছর আলুর উৎপাদন কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রকের প্রথম আগাম হিসাব অনুযায়ী, এ বছর দেশে আলু উৎপাদন হবে প্রায় ৫ কোটি ৮৯ লাখ টন।