বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পড়শি পাকিস্তানের প্রতি কঠোর হয়েছে ভারত। সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মতো একাধিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতার সাথে। অন্যদিকে প্রতিবেশীর কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে বেঁকে বসেছে পাকিস্তানও।
সিমলা চুক্তি স্থগিত থেকে শুরু করে সেদেশের আকাশ পথে নিষেধাজ্ঞার মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের আকাশপথে নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার বড়সড় ক্ষতির মুখে ভারতীয় বিমান সংস্থা Air India। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যা খবর, পাকিস্তান আকাশ সীমা বন্ধ করে দেওয়ায় কমপক্ষে 60 কোটি ডলারের ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছে দেশীয় বিমান সংস্থা।
ভারত সরকারকে চিঠি Air India-র
কাশ্মীরে 26 জন নিরীহ ভারতীয়র মৃত্যুর প্রতিবাদে পাকিস্তানকে একাধিক ক্ষেত্রে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। অন্যদিকে অপরাধ স্বীকার করা তো দূর, বরং প্রতিমুহূর্তে ভারতের উদ্দেশ্যে পরমাণু হুমকি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। সেই সাথেই যুদ্ধ যুদ্ধ জিগির তুলে ভারতের ওপর আকাশ সীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একেবারে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছে পশ্চিম দিকের দেশ।
তবে পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতির আশঙ্কা গুনছে ভারতীয় বিমান সংস্থা Air India-ও। জানা যাচ্ছে, পাক সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর স্বাভাবিকভাবে ভারতীয় বিমান গুলি ঘুর পথে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে। যার জেরে জ্বালানি খরচ বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই সমস্যাকে সামনে রেখেই ভারত সরকারকে খোলা চিঠি দিয়েছে বিমান সংস্থা Air India। সূত্রের খবর, গত 27 এপ্রিল বিমান সংস্থার তরফে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো চিঠিটিতে আর্থিক ক্ষতির অনুপাতে একটি ভর্তুকি মডেল চাওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকারের কাছে ওই চিঠিতে দাবি করেছে, পাকিস্তান থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর প্রতিবছর 50 বিলিয়ন রুপির বেশি ক্ষতি হবে তাদের। চিঠিতে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভর্তুকি একটি ন্যায্য বিকল্প। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তুকি তুলে নেওয়া যেতেই পারে।
পাকিস্তানের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে Air India-র ওপরই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে। কারণ আকাশ সীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলি ঘুর পথে অতিরিক্ত জ্বালানি পুড়িয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে, ভারত সরকারের কাছে মূলত ক্ষতিপূরণ বাবদ ভর্তুকি দাবি করেই সমস্যা এড়াতে চাইছে দেশীয় বিমান সংস্থা।
অবশ্যই পড়ুন: RR ম্যাচের আগেই KKR শিবিরে অশান্তি! প্রধান কোচের সাথে মতবিরোধ! দল ছাড়ছেন বিদেশি?
উল্লেখ্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন Air India কর্মী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের আকাশ সীমা বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিন যে ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণ করার জন্যই ভারত সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম উত্তর আসেন। সূত্র বলছে, দেশের অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থাটির এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কিছু ভাবছে কেন্দ্র।